
ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
ফেসবুকে ভুল তথ্য ও ছবি দিয়ে হয়রানি ও মানহানির অভিযোগে সাবেক সেনা কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একুশে টেলিভিশনের প্রতিনিধি রকিবুজ্জামান।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দন্ডবিধির ৫০০/৫০১ ও ৫০৬ ধারায় মাদারীপুর জেলা জজ কোর্টে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ সাজিদ উল হাসান চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে এর তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়,সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর রেজাউল করিম দীর্ঘদিন যাবৎ সাংবাদিক রকিবুজ্জামানকে সামাজিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করে আসছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ এপ্রিল দুপুরে মামলার আসামি রেজাউল করিম তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি হতে রকিবুজ্জামানের ছবিসহ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কিছু অসত্য কথা লিখে মানহানিকর একটি পোস্ট করেন। পরে, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যটি তার নিজস্ব লোকের ফেসবুক আইডির মাধ্যমে শেয়ার করে অপ্রচার চালিয়ে বাদীর সম্মানহানি ঘটায়।
এছাড়া বিভিন্নভাবে উক্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা বাদীকে প্রাণনাশেরও হুমকি প্রদান করেন বলে মামলায় উল্লেখ হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক রকিবুজ্জামান জানান,”সাবেক মেজর রেজাউল করিম রেজা আমাকে ইতিপূর্বে বিভিন্ন লোকের বিরুদ্ধে অসত্য নিউজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। তার কথা না মানায় তিনি আমার সম্মানহানি করার উদ্দেশ্য মিথ্যা তথ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে। পরর্বতীতে তিনি ফেসবুক লাইভে এসেও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে।
এছাড়া তার পোস্টে উল্লেখিত ঘটনার স্বাক্ষীদের বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে হুমকি প্রদান করেন। তাছাড়া তিনি তার পোস্টের কমেন্টেও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে এবং আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। অথচ তিনি তার পোস্টে আমার বিরুদ্ধে যা লিখেছেন প্রতিটি কথা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যাহার সকল প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। আমি তার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেছি। বিচারক পিবিআই কে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আশাকরি, ন্যায় বিচার এর মাধ্যমে সমাজে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এবং, এই মামলায় ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা করি।
উল্লেখ্য,মামলার আসামি সাবেক মেজর রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ভুয়া র্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে এক ব্যবসায়ী খিলগাঁও থানায় মামলা করেছিল।