বহুল আলোচিত ইউপি সদস্য মহাসিন আকন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামী হুমায়ুন মুন্সী (৫৫) ও ৯নং আসামী শাহীন মুন্সী (৫২) দ্বয়কে বিশেষ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মিরপুর-১ এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব -৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প ও র্যাব-১, সিপিসি-১,উত্তরা।
মামলার এজাহার পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, অত্র মামলার ১নং গ্রেফতারকৃত আসামী হুমায়ুন মুন্সী (৫৫) এবং ৯নং গ্রেফতারকৃত আসামী শাহীন মুন্সী (৫২), উভয় পিতা-মৃত রশিদ মুন্সী, উভয় সাং-এওজ, থানা- মাদারীপুর সদর, জেলা- মাদারীপুরসহ তার সহযোগীদের সাথে ভিকটিম মহসিন আকন এর দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমার ভোগ দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। যে কারণে ধৃত আসামীদ্বয় সহ তার সহযোগী আসামীরা ভিকটিম মহসিন আকনকে মারপিট করাসহ বিভিন্নভাবে ক্ষয়ক্ষতি করার পায়তারা করে আসছিল।
ঘটনার দিন গত ০৫/০৯/২০২৪ সন্ধ্যা অনুমান ২০.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম মহসিন আকন মাদারীপুর জেলার সদর থানাধীন এওজ সাকিনস্থ নতুন বাজারে জনৈক মিজানুর এর চায়ের দোকানের সামনে রাস্তার উপর চা পান করাকালে ধৃত আসামীদ্বয়সহ তার সহযোগী আসামীরা হাতে রামদা, ছুরি, ছ্যান, লোহার রড, হকিস্টিক ও বাঁশের লাঠি নিয়ে ভিকটিমের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। ধৃত আসামীদ্বয় সহ তার সহযোগী আসামীরা গরু জবাই করা ছুরি দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাম পাজরের নিচে কোপাইয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ফলে ভিকটিমের পেটের নাড়িভুড়ি পর্যন্ত বের হয়ে যায়। তখন ধৃত আসামীরাও ভিকটিমকে এলোপাতাড়ী কোপাইয়া ও মারপিট করে জখম করে। স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার ভিকটিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম মহসিন আকন গত ০৮/০৯/২৪ তারিখ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করে।
উক্ত সংক্রান্তে মামলা রুজু হলে মামলাটি গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প এবং র্যাব-১, উত্তরা ঢাকা, সিপিসি-১ এর একটি বিশেষ যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ইং-২৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ ২১:৪৫ ঘটিকায় ঢাকা মিরপুর-১ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১ নং আসামী হুমায়ুন মুন্সী (৫৫) এবং ৯নং গ্রেফতারকৃত আসামী শাহীন মুন্সী (৫২) দ্বয়কে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামীদ্বয়কে মাদারীপুর জেলার মাদারীপুর সদর থানার মামলা নং-১৯, তারিখঃ ০৯/০৯/২৪, ধারা- ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ পেনাল কোড মুলে থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।