কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন মিঠাপানিরছড়া এলাকায় র্যাব-১৫ এর অভিযানে বসতঘরের শয়নকক্ষের খাটের নিচে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থা হতে ১১৫ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সদর ইউনিয়নের মিঠাপানিরছড়া এলাকাস্থ একটি বাড়ীতে অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের জন্য মজুদ রয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ অনুমান ০৩.১৫ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় উক্ত বসতঘরের সামনে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ছৈয়দ করিম’সহ অজ্ঞাত ২/৩ জন মাদক কারবারী তার ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে রাতের অন্ধকারে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে পলাতক মাদক কারবারীর বসতঘর ও ঘরের আশপাশ এলাকা তল্লাশী করে শয়নকক্ষের খাটের নিচে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থা হতে ০৫ (পাঁচ) টি প্লাস্টিকের বস্তায় সর্বমোট ১১৫ বোতল বিদেশী মদ (১০০টি বোতলের লেভেলের গায়ে MANSHAL RUM, 40% ALC এবং ১৫টি বোতলের লেভেলের গায়ে GRAND ROYAL BLACK., BLENDED WHISKY, WHISKY IN MYANMAR 40% ALC লেখা আছে) উদ্ধার করা হয়।
৩। উপস্থিত স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উক্ত বাড়ীটি পলাতক মাদক কারবারী ছৈয়দ করিমের এবং সে তার বসতঘরে মাদকদ্রব্য মজুদের মাধ্যমে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছে। সে অজ্ঞাতনামা মাদক কারবারীদের যোগসাজসে পার্শ্ববর্তী দেশ হতে মাদকদ্রব্য বিদেশী মদ অবৈধভাবে সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ করতো এবং স্থানীয় এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করতো বলে জানা যায়। উল্লেখ্য, পলাতক মাদক কারবারীদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে।
৪। উদ্ধারকৃত আলামত ও পলাতক মাদক কারবারীদের সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
—-ধন্যবাদ—-
