কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার মিরপুরে মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন মহাম্মদ আলী জোয়ারদার এর ছেলে সমির জোয়াদ্দার ও তার স্ত্রী। যেন উদোর পিন্ড ও বুদুর ঘাড়ে চাপানো। এলাকার মানুষ হতবাক।
১৬ নভেম্বর মিরপুর থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় আগে মিরপুর উপজেলার গৌড়দহ গ্রামের ব্যবসায়ী মোহন মালিথার বাড়িতে অপরিচিত একজন যুবক বসত ঘরে প্রবেশ করে টেবিলের উপর রাখা ১ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। ঘটনার সময় বাড়ির মালিক মোহন অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখে তিনি কে এবং কেন বাড়িতে প্রবেশ করেছেন পরিচয় জানতে চাইলে চোর তার হাতে থাকা ধারালো চাকুদিয়ে মহনকে আঘাত করে।
এ সময় তার জামাতা সমীর জোয়ার্দ্দার ঠেকাতে গেলেচোর সমির জোয়ার্দ্দারকেও আক্রমণ করে হাতের আঙ্গুলে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে । এ সময় মোহনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে জনতার হাতে বাড়ির বাহিরে জাহাঙ্গীর (২৯) নামের একজন চোর গণপিটুনের শিকার হন। জাহাঙ্গীর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কালিশংকরপুর গ্রামের আলতাব আলীর ছেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও জনতার হাতে আটক জাহাঙ্গীর নিজেকে মাদকাসক্ত ছেচরা চোর বলে শিকার করেন।
পরে আটককৃত চোরকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে ইউপি সদস্য আয়নাল গৌড় দহ মোড়ে একটি কক্ষে আটকে রেখে তার পিতাকে মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে পিতা ও পরিবারের সদস্যদের মীমাংসা করে তাদের জিম্মায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আয়নাল হক,ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আব্দুস সালাম, ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় নিয়ে বাড়ি চলে যায়।
ঘটনার একদিন পরে বিষয়টি রাজনৈতিক রং লাগিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে সমির জোয়ারদার (২২),তার স্ত্রীর সুমাইয়া (১৯),মোহন মালিথা (৫৭) সহ মোহনের নাবালিকানমেয়ে মায়া খাতুন (১৪) নামে মিরপুর থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন যার নাম্বার, ১৩ তারিখ ১৬/১১/২৪। ভুক্তি পরিবারের সদস্য মোহন মালিথা জানান আমার প্রতিবেশী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে জোগসাজে চোরের পরিবার এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। অথচ আমিও আমার জামাতা সমির জোয়ারদারচোরের ছুরি কাঘাতে আহত হয়েছি। সেদিন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথা শুনে থানায় সোপাদ্য না করে আমারা ভুল করেছি। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।