মোঃ সুমন আলী , স্টাফ রিপোর্টার
গাজিপুর চৌরাস্তা – চন্দ্রা মহাসড়কে আতঙ্কের আরেক নাম তাকওয়া পরিবহনের হাইওয়ে মিনি,। ফিটনেস বিহীন গাড়ি অদক্ষ চালকের কারনে বাড়ছে দুর্ঘটনা,মহাসড়কের গাজিপুর চৌরাস্তা হয়তে চন্দ্রা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়ক দাপিয়ে বেড়ানো এই মিনিবাস যেন গাজিপুরের মরন যান,এ পরিবহনের বাসের কর্মিদের বিরুদ্ধে ধাক্কা দিয়ে যাত্রী ফেলে পিষে হত্যার রেকর্ড অনেক পুরোনো ।
২০২২ সালের ৭ ই জুলাই গাজিপুর শিববাড়ি এলাকায় ভাড়া নিয়ে বিতন্ডার জেরে তাকওয়ার বাস থেকে মোঃ সায়েম নামে এক যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় হেলপার, পরে চালক তাকে পিষে মেরে পালিয়ে যায় । ওই বছরের ১৪ ই জুলাই শ্রীপুরে এ বাসের চাপায় মারা যান তাসলিমা আক্তার নামের এক পোশাক শ্রমিক । এ ছাড়াও চন্দ্রা এবং গাজিপুর চৌরাস্তায় যাত্রীদের টানা হেচড়া করা,যাত্রীদের হয়রানী করার অভিযোগ তো আছেই ।
পরিবহন শ্রমিক ও হাইওয়ে মিনি তাকওয়া পরিবহনের বেশ কয়েক জন চালকের সাথে কথা বলে যানা যায়, গাজিপুর চৌরাস্তা হইতে চন্দ্রা পর্যন্ত প্রায় ৪০ টি গাড়ি হায়ওয়ে মিনি তাকওয়া পরিবহন নামে চলাচল করছে অনেক দিন ধরেই । এসব গাড়ির কোনো ফিটনেস নেই, বেশ কিছু গাড়ি স্থানীয় ওয়ার্কসপ গুলোতে নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি করা, নেশাগ্রস্থ যুবক, অপ্রাপ্ত বয়সের শিশু ও অদক্ষ চালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে এসব পরিবহনে ।
এদের কারনে সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি সামাজিক অপরাধও বাড়ছে, এসব পরিবহনের শ্রমিকরাও যাত্রীদের মালামাল,টাকা পয়সা,ও মোবাইল ফোনও ছিনতাই করে মাঝে মধ্যে । তাকওয়া পরিবহন হাইওয়ে মিনির ৪০-৪৫ টি বাস রয়েছে এসব গাড়ি মহাসড়কে লোকাল বাস হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে ।
তবে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, ইজিবাইক চলাচলের কারনে অনেক পরিবহন শ্রমিক অটোরিক্সা,ইজিবাইক চালাতে চলে গেছে । দক্ষ চালক না থাকায় মালিকরা অদক্ষ চালকের হাতে গাড়ি তুলে দিয়েছেন । অদক্ষ চালকের কারনে মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা, তাই ফিটনেস বিহিন গাড়ি চলাচল বন্ধ ও অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানো বন্ধ করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।