কক্সবাজারের রামু থানাধীন ধেছুয়াপালং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০৬ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ একজন রোহিঙ্গা মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, যাত্রী বেশে একজন মাদক কারবারী সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে অবৈধ মাদকদ্রব্যসহ উখিয়া হতে কক্সবাজারের দিকে আসছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ অনুমান ০০.২০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিএসসি’র একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ০৫নং ওয়ার্ডস্থ ধেছুয়াপালং এলাকার সি এন্ড জে অটোগ্যাস পাম্পের সামনে কক্সবাজার-উখিয়াগামী মহাসড়ক এর রাস্তার উপর অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় একটি সিএনজি তল্লাশীকালে একজন যাত্রীর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তার সাথে থাকা ০১টি কালো রংয়ের ব্যাগসহ তাকে আটক করতঃ উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির দেহ ও সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে সর্বমোট ০৬ (ছয়) কেজি গাঁজা উদ্ধার এবং মাদক বিক্রয়ের নগদ ৩৭,৪০০/- (সাঁইত্রিশ হাজার চারশত) টাকা ও ০৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় নুর মোহাম্মদ (২৪) (রোহিঙ্গা), পিতা-মৃত সৈয়দুল আমিন, সাং-কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্প, ব্লক-এফ, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত নুর মোহাম্মদ নিজেকে রোহিঙ্গা নাগরিক বলে স্বীকার করে এবং তার নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে। সে মাদকদ্রব্য গাঁজাসহ অন্যান্য মাদক চোরাই পথে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ এবং দীর্ঘদিন যাবত এ সকল মাদক কক্সবাজার এর বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে আসছিল।
উদ্ধারকৃত মাদকসহ গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার রামু থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।