অথই নূরুল আমিন
বিগত হাজার বছরের ইতিহাসে জানা যায়, তখনকার সময়ের যারা ব্যবসা বাণিজ্য করত, তাদের পদবী ছিল, সওদাগর, বণিক, মহাজন সর্দার ইত্যাদি। তখনকার সময়ে অনেক রাজা বাদশাহরাও ব্যবসা বাণিজ্য করতেন, যার মুল উদ্দেশ্য ছিল, রাজ কর্মচারিদের বেতন ভাতা সংগ্রহ করা, এবং রাজ্যের অর্থহীন প্রজাদের সাহায্য করা, ঐ ধরনের ব্যবসা বাণিজ্যে তখনও আমদানি- রপ্তানি হতো নানারকম পণ্য। এভাবেই কিন্তু যুগের পর যুগ চলছে বাণিজ্য প্রতিযোগিতা, এখন তো এই প্রতিযোগিতার মাত্রা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তার কারণ হলো, কোনো দেশেই ভূমি বাড়ছে না, জনসংখ্যা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।
বিশেষ করে পণ্য রপ্তানি খাতে বর্তমানে চীন সারা বিশ্বে পণ্য রপ্তানির সেরা, চীন থেকে সারা বিশ্বে ছোট বড় কমপক্ষে আশি থেকে নব্বই হাজার জাতের পণ্য রপ্তানি করে আসছে তারা । চীন তাদের দেশের জন্য খুব কম পণ্যই আমদানি করে থাকে, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তারা পণ্য আমদানি করে না।
একটি রাষ্ট্র পরিচালনা যারা করে, তারা যদি না বুঝে পণ্য আমদানি করলে কি লাভ কি ক্ষতি? বা রপ্তানি করলে কি লাভ? তাহলে তো সেই রাষ্ট্রের জনগণ হতাশায় ভুগবে, এটাই সত্যি। বিশেষ করে চীন কিন্তু সারা বিশ্বজুড়ে সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় দেশের প্রায় নব্বই ভাগ পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে চীন সরকার নিজেরাই তদারকি করে থাকে
। আসলে একটি দেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশের সরকারের অগ্রনী ভূমিকা খুবই জরুরি। একটি রাষ্ট্র তার দেশ থেকে যত বেশি পণ্য রপ্তানি করবে, রাষ্ট্র তত উন্নত হবে, ততই দেশের বেকারত্ব কমবে। তবে এরকম রপ্তানি বিষয়টি নিয়ে সবসময় কাজ করবে দেশের সরকার। সরকারের সকল দপ্তর ।
তবে সরকার প্রধান এ বিষয়ে আগ্রহ দেখাতে হবে। বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের বেলায়, বতর্মান সময়ে পণ্য আমদানি হচ্ছে ৮৫% আর রপ্তানি হচ্ছে ১৫% যার ফলে দেশে যেমন বেকারের হার বাড়ছে পাল্লা দিয়ে, অন্য দিকে শ্রমিকের বেতন কম। আমরা যেদিন ৮৫% পণ্য রপ্তানি করতে পারব, সেদিন এই দেশটি সত্যি সত্যি সোনার বাংলা হবে। আমাদের দেশের সরকারের কোনো মুলধন নেই, সরকারের কোনো ব্যবসা বাণিজ্য নেই, তাই সরকার আর ফকিরের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই।
আমাদের দেশের সরকার বিদেশী ঋণ আর ব্যবসায়ীর ভ্যাট ট্যাক্সের উপর নির্ভরশীল সারাজীবন। এরকম অবস্থায় সবসময় সরকারের দুর্বলতা জনগণের কাছে প্রকাশ পায়। যার ফলে আমাদের দেশের জনগণ সবসময় সরকারের আমলা মন্ত্রী এমপিদেরকে চুরি করতে দেখতে পায়। এরকম একটি ঘৃণিত বিষয় থেকে যে সরকার বেড়িয়ে আসতে পারবে। তখন থেখে জনগণ সরকারের প্রতি আস্থা আনবে। অথই নূরুল আমিন কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ২০. ১১.২০২৪