এম আবু হেনা সাগর,
ঈদগাঁও পর্যটন নগরী কক্সবাজারের কস্তরাঘাটের নতুন সেতু সৌন্দর্য উপভোগ করতে বৈকালিক সময়ে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর উপর কস্তুরাঘাট-খুরুশকুলের নতুন সেতু খুলে দেওয়ায় ভ্রমন পিপাসু মানুষদের জন্য এক দৃষ্টিনন্দন স্থানে পরিণত হয়। অন্যদিকেই যোগা যোগ সহজতর হয়ে উঠে। চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের পাশাপাশি এখন চৌফলদন্ডী পার হয়ে খুব সহজে পর্যটন শহর কক্সবাজারে আসা সম্ভব। ঈদগাঁও উপজেলাসহ আশপাশে বিভিন্ন এলাকার লোকজন নানান গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্মে এই গ্রামীন সড়কের সৌন্দর্য উপভোগ করে ছুটে আসেন কক্সবাজারে। এ সড়কটি এখন যান ও জন চলাচলে গুরুত্ব হয়ে উঠেছে। আরো দেখা যায়,নান্দনিক সেতুটি বর্তমানে নব বিনোদন কেন্দ্রের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। সেতুটি দেখতে পড়ন্ত বিকেলে জেলার বিভিন্ন উপজেলা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে আগত অসংখ্য দর্শনার্থী চোখে পড়ার মত। সেতুকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা দেয় স্থানীয় কিংবা দূরদূরান্তের পর্যটকদের মাঝে।
কেউ কেউ সেতু চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করছে ঘুরে ঘুরে, কেউবা তুলে সেলফি। বৈকালিক সময়ে বিভিন্ন এলাকার নর নারী দর্শনার্থীরা সেতুটি একনজর দেখতে আসে কেউ স্বপরিবারে, কেউ বন্ধুদের সাথে, কেউবা একা আসে সেতু দেখতে। হাটাচলার পাশাপাশি উঠতি প্রজন্মের তরুনরা মোটরসাইকেল কিংবা অপরাপর যানবাহনে করে সেতুর এপার ওপার পার হতেও চোখে পড়ে। মামুন ও ফাহিম জানান, সেতুটি পার হওয়ার মধ্য দিয়ে স্বপ্ন পূরণ হয়। এমন অযোগ্য স্থানে সেতু, সেটি কল্পনারও বাইরে। অসম্ভবকে যে সম্ভবে পরিনত করা যায়, এটি তার জলন্ত প্রমান। গৌবরে যেন পদ্মফুল। পর্যটকদের দাবী, দৃষ্টিনন্দন সেতুতে পুলিশী টহল জোরদার রাখা হোক।
সূত্র মতে, ২০২৩ সালের শেষান্তের দিকে জনগনের জন্য উন্মুক্ত করা হয় দৃষ্টিনন্দনও নজরকাঁড়া এ সেতু। সেতুটির ফলে নতুন করে চাঙ্গা হয় কক্সবাজারের অর্থনীতি।