র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, লালমনিরহাট হতে ঢাকাগামী মাইক্রোবাসযোগে কতিপয় ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল বহন করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৩/০৫/২৪ তারিখ ২৩,৫০ ঘটিকায় র্যাব-১২, সিপিএসসি বগুড়ার একটি আভিযানিক দল বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন বেতগাড়ী রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ শফিকুল ইসলাম (১৯), পিতা- মোঃ গফুর আলী, সাং- মৌজাশাঘাতি, থানা- কালিগঞ্জ, জেলা- লালমনিরহাট, ২। মোঃ শান্ত (২৭), পিতা- মোঃ মনির হোসেন, সাং- কোটমারী, থানা- কালিগঞ্জ, জেলা- লালমনিরহাট, ৩। মোঃ জামিরুল ইসলাম (৩২), পিতা- মৃত তাহের আলী, সাং- কাশিরাম, থানা- কালিগঞ্জ, জেলা- লালমনিরহাট, ৪। মোঃ মহুবর রহমান (২৭), পিতা- মোঃ মকছেদুর রহমান, থানা- কালিগঞ্জ, জেলা- লালমনিরহাট, ৫।
শ্রী শ্যামল চন্দ্র রায় (৩২), পিতা- মৃত শান্তারাম, থানা- কালিগঞ্জ, জেলা- লালমনিরহাটগণকে তাদের চালিত দুইটি মাইক্রোতে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত ১৯৩ বোতল ফেন্সিডিল, ০৮টি মোবাইল ও ০৮টি সীমসহ গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামীগণ দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা অত্যন্ত চতুর হওয়ায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিল। আসামীগণ মাদক পরিবহনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে মাদকদ্রব্য গন্তব্যস্থলে নিরাপদ ভাবে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে মাদক বহনকারী গাড়ীর সামনে এস্কট হিসেবে আরো একটি গাড়ি ব্যবহার করে। এস্কর্ট হিসেবে ব্যবহৃত সামনের গাড়িটি রাস্তায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন টহল/চেকপোষ্ট আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে পিছনের মাদক বহনকারী গাড়িকে সতর্ক করতো। সামনের এস্কর্টের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা নিরাপদ রুট নির্বাচন করে মাদক পরিবহন করতো। ধৃত আসামী জামিরুল ইসলাম এর নামে একটি মাদক মামলা ও ধৃত আসামী মাহাবুবুর রহমান এর নামে একটি মারামারি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে মর্মে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীগণের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শাজাহানপুর থানা, বগুড়ায় হস্তান্তর করা হয় ।