বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব এর সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

২র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি প্রাইভেট কার যোগে অবৈধ মাদকদ্রব্য বহন করে বিক্রয় এর উদ্দেশ্যে ফেনী হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক ১৫২০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানাধীন হিংগুলী এলাকার খাঁন সিটি সেন্টার এর সামনে পাকা রাস্তার উপর বিশেষ চেক পোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে।

এসময় র‌্যাবের চেক পোস্টের দিকে আসা সন্দেহজনক ০১টি সাদা রঙের প্রাইভেট কারকে থামানোর সংকেত দিলে উক্ত গাড়িটি চেক পোষ্টের কাছে এসে থামে এবং প্রাইভেট কার হতে ০৩ জন ব্যক্তি সুকৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে র‌্যাব সদস্যরা আসামি ১। মোঃ লোকমান (২৮), পিতা- মোঃ হাসান আলী, সাং-আন্ধার মানিক, থানা- ভূজপুর, ২। মোঃ মোর্শেদ (২৩), পিতা- মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সাং- কালাবীপাড়া, থানা- ভূজপুর এবং ৩। মোঃ রুবেল (২৫), পিতা- মোঃ হামিদুল হক, সাং- বৃন্দাবনপুর, থানা- রাউজান, জেলা- চট্টগ্রাম'দের আটক করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে আসামিদের দেখানোমতে তাদের নিজ হেফাজতে থাকা প্রাইভেট কারের পিছনের ব্যাকডালার ভিতর হতে একটি ট্রাভেল ব্যাগে বিশেষ কৌশলে রক্ষিত ১০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার সহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরীর বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মোট আনুমানিক মূল্য ১ লাখ টাকা।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের এবং জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ও প্রাইভেট কার সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাদেরকে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।