চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় ঝোপের ভিতর লাগেজ ভর্তি মস্তক বিহীন লাশের আট খন্ড উদ্ধারের ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিবিআই বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ইপিজেডের আকমল আলী রোডের আবর্জনায় ভরা খালে পাওয়া ৫৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তির নাম মো. হাসান। তিনি বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বরইতলি এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে। মরদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।৮ খন্ডের লাশ।
পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, ৩০ বছর ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর ১ বছর আগে ফিরে এলে পরিবারের সাথে তার সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ বাধে। সেই থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তান তাকে তার পরিকল্পনা করে।
স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও সন্তান মোস্তাফিজ আটকের পর পিবিআই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ধার করেছে।পলাতক অন্য এক সন্তানকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।
পিবিআই চট্টগ্রাম নগর অঞ্চলের ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন সেলিম জানান, পারিবারিক সহিংসতা শিকার নিহত ব্যক্তি মোঃ হাসানের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। তার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে।
তার পরিবার থাকে ইপিজেড আকমল আলী রোডের বাসায়। প্রায় ৩০ বছর ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর হাসান এক বছর আগে পরিবারের কাছে ফিরে আসে।
এরপর থেকে স্ত্রী সন্তানদের সাথে সম্পত্তির ভাগভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।
এর জের ধরে স্ত্রী দুই ছেলেকে নিয়ে হাসান পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর করার জন্য লাশ গুম করার জন্য কেটে ৯ টুকরো ৮ টুকরো লাগজে ভরে মস্তক এক জায়গায় এবং লাগেজ ভর্তি আট টুকরো অন্য জায়গায় ফেলে দেয়।
পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আফতাব হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পরিত্যক্ত একটি লাগেজটি পাওয়া যায়। যাতে একটি লাশের খণ্ডিত অংশগুলো পাওয়া যায়। এর মধ্যে হাত-পায়ের আটটি খণ্ডিত অংশ ছিল।
হাত-পাগুলো আট টুকরো করে কেটে টেপ মুড়িয়ে লাগেজে ভরা হয়েছিল। লাগেজের ভেতর শার্ট এবং লুঙ্গিও ছিল বলে জানা যায়
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত