
শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে দু’টি কারখানার শ্রমিকরা। তাদের আন্দোলনে ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালার এলাকার নোমান গ্রুপের ইয়াসমিন স্পিনিং ও রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মুলাইদ এলাকার নোমান গ্রুপের তালহা স্পিনিং মিলের শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানান।ইয়াসমিন স্পিনিং মিলের শ্রমিকরা বলেন , প্রতি মাসের বেতন পরের মাসে ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা হয়। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ হলেও এখনো আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ করছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। বেতন নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো কথাও বলছে না। আমরা একাধিকবার তাদের কাছে গিয়েও বেতন পরিশোধের কোনো ধরনের আশ্বাস না পেয়ে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি। বেতন না পেয়ে আমরা ঘর ভাড়া, দোকানের বাকি পরিশোধ করতে পারছি না।
আরেক শ্রমিক সজিব বলেন, আমরা সঠিক সময়ে বাড়ি ভাড়া দিতে না পারলে বাড়ির মালিক আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে, নানা ধরনের কটু কথা শুনতে হয় আমাদের। আমরা মাসব্যাপী মুদির দোকান থেকে বাকিতে খাদ্য সামগ্রী কিনে থাকি, বেতন পেয়ে সেই টাকা পরিশোধ করতে হয়। বেতন পাওয়ার সাথে সাথে সন্তানদের স্কুলের ফি পরিশোধ করতে হয়। আমাদের বেতন আটকে যাওয়ায় তাদের কটু কথা শুনতে হচ্ছে। আমরা বারবার কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে বেতনের জন্য কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা আমাদের সাথে কোনো ধরনের আলোচনা করেনি।
একই অভিযোগ করেন নোমান গ্রুপের তালহা স্পিনিং মিলের শ্রমিকরাও। কারখানার শ্রমিক সোহেল ও মাহতাব বলেন, আমাদের আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কর্তৃপক্ষ আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়নি। আমাদের সাথে কোন ধরনের আলোচনাও করেনি।বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা গণমাধ্যমে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের শ্রীপুর জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আ স ম আবদুর নুর বলেন, খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান। এতে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি শেষে শ্রমিকদের সাথে নিয়ে কারখানার মালিক ও কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে বেতন পরিশোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।