কক্সবাজারের রামু থানাধীন কচ্ছপিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত শাহীন ডাকাতের দুইজন সহচর পলাতক আসামী র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার

১। র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাতি, চুরি-ছিনতাই, বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত/গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার এবং মাদকসহ সমাজে বিরাজমান বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

২। গত ০৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে কক্সবাজারের রামু থানাধীন কচ্ছপিয়া এলাকায় পূর্ব বিরোধের জেরে মনির উদ্দিন (২২), পিতা-মৃত মোক্তার আহম্মদ এর উপর সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনার দিন ভিকটিম মনির উদ্দিনের পথরোধ করে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দা, চাপাতি, ছুরি, লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মকভাবে জখম করে। এছাড়াও তার নিকট হতে নগদ অর্থ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় কোন প্রকার আইনের আশ্রয় নেয়া হলে ভিকটিম মনির উদ্দিন’কে মেরে ফেলা’সহ বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিম বাদী হয়ে কক্সবাজারের রামু থানায় একটি মামলা রুজু করেন, যার মামলা নং ১৫/২৪, তারিখ- ১০/১০/২০২৪ ইং ধারা-৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩৭৯/৫০৬(২)/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।

৩। বর্ণিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৫ কর্তৃক মামলার এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, অদ্য ১০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজারের একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজারের রামু থানাধীন কচ্ছপিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত শাহীন ডাকাতের দুইজন সহচর এবং দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় ১ ও ২নং আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিস্তারিত পরিচয়-

১) মিজানুর রহমান (৩৬), পিতা-আবুল কাশেম, সাং-দক্ষিণ পাড়া, ওয়ার্ড নং-০১, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন, থানা-রামু, জেলা- কক্সবাজার।

২) মো: হাশেম (৩৬), পিতা-রশিদ আহমদ, সাং উত্তর পাড়া, ওয়ার্ড নং-০১, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন, থানা-রামু, জেলা- কক্সবাজার।

৪। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় নিজেদের কুখ্যাত শাহীন ডাকাতের সহচর এবং মামলা সংক্রান্তে পূর্ব বিরোধ থাকায় ভিকটিম মনির উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর আক্রমণ চালায় মর্মে স্বীকার করে।

৫। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে রামু থানায় হস্তান্তর দাখিল করা হয়েছে।

-----ধন্যবাদ-----