এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদে নান্দনিক রেল স্টেশনটি দ্রুত সময়ে চালুর দাবী।
রেল ভ্রমণ আরামদায়ক। এটির সাথে যুক্ত হতে পারেননি ঈদগাঁও উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের যাত্রীরা। পার্শ্ববর্তী উপজেলা রামু-চকরিয়া রেল স্টেশনে টিকেট বিক্রি, যাত্রী উঠানামা করলেও ইসলামাবাদের সেই রেল স্টেশনটি এখনো চালু হয়নি। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রেলে চড়া সম্ভব হচ্ছে না বহুজনের। যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন রেল স্টেশনটিতে টিকেট বিক্রি,যাত্রী ওঠানামার ব্যবস্থা করায় রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী এলাকার লোকজনের। এটি হলে যাত্রীরা অল্প সময়ে, ভােগান্তি ছাড়াই প্রয়োজনীয় কাজকর্মে চট্টগ্রাম বা ঢাকায় যেতে পারবেন। উঠানামা করতে না পারায় যাত্রী সাধারণ হতাশ।
স্টেশন মাষ্টার যোগদান করার পরেও এখনো পযন্ত এই স্টেশনে টিকিট বিক্রি তো দূরের কথা, রেল দাঁড়ায় না বলে জানান স্টেশনে দায়িত্বরত ওসমান নামের ব্যাক্তি। দেখা যায়, চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাস্তার মাথা জানআলী হাট রেল স্টেশন পয়েন্টে একটি নোটিশে পটিয়া,দোহাজারী,সাত কানিয়া,চকরিয়া,ডুলাহাজারা,রামু, কক্সবাজার স্টেশনের নাম উল্লেখ থাকলেও ইসলামাবাদ রেল স্টেশনের নাম নেই।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথ স্বপ্ন নয়, বাস্তবে। রেল চালু হওয়ায় পর্যটকসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়। এতে করে কক্সবাজারের পর্যটন সহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে আসল বৈপ্লবিক পরিবর্তন। দিন বদলের সনদ বাস্তবায়নে দুরন্ত পনায় এগুচ্ছেন এই রেলপথ।
সরকারি নিবন্ধিত ঈদগাঁও যুব ঐক্য পরিবারের সভাপতি ও পল্লী চিকিৎসক রেহেনা আকতার কাজল জানান, চকরিয়া-রামু উপজেলার মানুষ রেলস্টেশন থেকে উঠানামা করতে পারছে আর টিকেট নিতে পারছে। অথচ ঈদগাঁওর ইসলামা বাদ স্টেশনটি এখনো চালু হয়নি। যাত্রীদের মহা দুর্ভোগ লাগাবে স্টেশন চালু করার দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।
কক্সবাজার সরকারী কলেজ প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, রেল সুবিধা ঈদগাঁও উপজেলা বাসী পাচ্ছেনা। ইসলামাবাদের নান্দনিক স্টেশন দ্রুত চালু করে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার দাবী।