সেলিম বাবু স্টাফ রিপোর্টারঃ
মেহেরপুরের গাংনীর সাবেক এমপিসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং গাংনী থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরেন্দ্রনাথ ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের নামে মামলা দায়ের করেছে ভূক্তভােগি এক যুবদল নেতা । বাদিকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিতে শারীরিক নির্যাতন ও জোরপূর্বক চাঁদা আদায়সহ তিনটি মিথ্যা মামলার আসামি করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন জেলার গাংনী পৌর এলাকার পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশ সদস্য মৃত মহর আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান মনি। তিনি গাংনী পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক।
মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর বিজ্ঞ আমলী (গাংনী) আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। মামলাটিতে প্রধান আসামি করা হয়েছে গাংনী থানার তৎকালিন ওসি হরেন্দ্রনাথকে। এছাড়াও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন, গাংনী থানার এসআই আব্দুল হক, এসআই বখতিয়ার, এসআই ইসরাফিল, এসআই নারোদ, এএসআই শরিফ, এএসআই রেদোয়ান, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম ও মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদসহ ২১ জনের নামে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। বাদি তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন বাদিকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। প্রাণনাশের হুমকিতে থানায় জিডি করতে গেলেও ওসি হরেন্দ্রনাথ তা গ্রহণ করেননি। এদিন মোশাররফ হোসেনের অফিসে বাদিকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে ৫ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হয়। টাকা না পেয়ে থানার গাড়ীতে তুলে দেওয়া হয়। থানায় নিয়ে বাদির চোখ ও হাত পা বেঁধে পিটিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বলে আসামিরা।
পরবর্তীতে আবারও বাদিকে ধরে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে ২ লাখ টাকা নেওয়া হয়। এরপরেও বাদিকে ছেড়ে না দিয়ে অস্ত্রসহ মিথ্যা মামলায় কোর্টে চালান দেওয়া হয়। পরে আরও দুটি সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে বাদিকে নির্যাতন করা হয়। আরও মামলার ভয় দেখিয়ে আসামিরা পরবর্তীতে বাদির কাছ থেকে আরও ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আসামিরা পরস্পর জোগসাজসে এ ঘটনা ঘটায় তাই তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানান মামলার বাদি মনিরুজ্জামান মনি।