এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও
জেলার বৃহৎ কোরবানী পশুর হাট হচ্ছে কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার হাট বাজারটি। পশুর হাটে বৃহত্তর এলাকার গ্রামগঞ্জ থেকে ছোট-বড় গরু মহিষ আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিক্রেতারা।
১৭ জুন আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বাসস্টেশনে গরু বাজার পয়েন্টে কোরবানির পশুর হাটবাজারের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এই লক্ষ্যে গত দুইদিন ধরে মহাসড়কের উপর তোরন নির্মাণ, সড়কের পাশে গরু মহিষ রাখার সামিয়ানা টাঙ্গানোর কার্যক্রম চলছে। ৪ জুন সকালে বাজার পরিদর্শনকালে এমনটি দেখা যায়।
বাজার পরিচালনার দায়িত্বরত এক ব্যাক্তির সাথে কথা হলে তিনি জানান, মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে কোরবানীর পশুর হাট শুরু হচ্ছে। এই লক্ষে কার্যক্রম চলছে। গরু মহিষও বাজারে তুলছেন বিক্রেতারা।
তথ্য মতে, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওর স্টেশনে দীর্ঘলাইন জুড়ে কোরবানী পশুর হাট বসতে যাচ্ছে। তবে পশুর বাজারে দেশীয় গরু মহিষসহ ইন্ডিয়ান পশুও আসে। গরু মহিষের আকার আকৃতি দেখে দাম ঠিক হয়। গ্রামীন জনপদের বহু খামারীসহ বিক্রেতারা অধিক আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কোরবানির পশুর হাটের। তাদের নিজ হাতে লালন পালনকৃত পশু এবার কোরবানির হাটে তুলবে। এদিকে ঈদগাঁওর কোরবানির হাটের আগেই কিছু ইন্ডিয়ান বড় গরু চোখে পড়ে ঐতিহ্যবাহী এই গরু মহিষের হাটে।
জানা যায়,বৃহত্তর এই পশুর হাটে ঈদগাঁও উপজেলা লোকজন ছাড়াও রামু, চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে কোরবানীর গরু-মহিষ কিনতে এসে থাকেন। তাদের পশুও বিক্রি করতে আনেন বিভিন্ন এলাকা থেকে।
বাজার ইজারাদার রমজান কোম্পানী জানান, এই হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে পুলিশী টহল অব্যাহত থাকবে। ক্রেতা-বিক্রেতা যাতে সুষ্টু ও সুন্দর পরিবেশে কাঙ্খিত, পছন্দের গরু মহিষ কিনতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।