ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ১২ ঘণ্টার জন্য চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেল বন্ধ করার কথা থাকলেও দেড় ঘণ্টা আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টানেল।
রোববার (২৬ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গবন্ধু টানেল বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টানেলের সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. সাজ্জাদ।
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টায় টানেল বন্ধ করার কথা থাকলেও ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে বিকেল সাড়ে ৪টায় টানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত টানেল খুলবে না।
জানা যায়, আপাতত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত টানেল বন্ধ রাখতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বিকেল সাড়ে ৪টায় টানেলের উভয়প্রান্তের ৪টি ফ্লাড গেইট বন্ধ করে দেয় টানেল কর্তৃপক্ষ।
টানেল উদ্বোধনের পর ২০২৩ সালের ১৩ মে প্রথমবারের মতো টানেলটি ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে নিরাপত্তামূলক সতর্কতা হিসেবে সাময়িক বন্ধ রেখেছিল সেতু কর্তৃপক্ষ। এ বছর দ্বিতীয় বারের মতো দেশের একমাত্র টানেলটি সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র মারফত জানা যায়, সাগরে পানির উচ্চতা সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ মিটার পর্যন্ত টানেলে পানি প্রবেশ করবে না। স্বাভাবিক জোয়ারে ২ দশমিক ৪ মিটার পর্যন্ত সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে পানির উচ্চতা থাকলেও রোববার দুপুর পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ৩ দশমিক ৪ মিটার। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা সাড়ে ৭ মিটারের বেশি হলে ফ্লাড গেইটের কারণে টানেলের ভেতরে পানি প্রবেশ করতে পারবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানেল, যানবাহন ও মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেল বন্ধ থাকবে।’
উল্লেখ্য, টানেলের উভয়প্রান্তের ৪টি ফ্লাড গেইট বন্ধ করতে ১৫ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ৩০ সময় লাগে। প্রতিটি গেইট হুইল ঘুরিয়ে ম্যানুয়ালি বন্ধ করতে অন্তত ৩ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার সময় উভয়প্রান্তের ফ্লাড গেইট বন্ধ করার পর টানেলের উভয় পাশে ভ্যারিয়েশন মেসেজ সাইনে দুর্যোগকালীন সময়ে টানেল ব্যবহার, টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা প্রর্দশন করা হচ্ছে।