র্যাব প্রাতিষ্ঠানিক সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে । জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, প্রতারক, হত্যা এবং ধর্ষন মামলার আসামিসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট এর চৌকস আভিযানিক দল ২৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ ০০৩০ ঘটিকায় জয়পুরহাট জেলার সদর থানাধীন ভাদসা গুচ্ছগ্রাম এলাকা হতে ১৮ গ্রাম গাঁজা ও ০৬ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ লিটন মিয়া (৩২), পিতা-মোঃ রমজান আলী, ২। মোঃ মনসুর আলী (৩১), পিতা-মৃত বাচ্চু মিয়া, ৩। মোঃ সাধন হোসেন (২৪), পিতা-মোঃ আবু কাশেম, ৪। মোঃ সাগর হোসেন (২৬), পিতা-মোঃ নুরুল ইসলাম, ৫। শ্রী উজ্জল কর্মকার (৪৩), পিতা-শ্রী মংলা কর্মকার, সকলের সাং-ভাদসা গুচ্ছগ্রাম, থানা-সদর, জেলা-জয়পুরহাট কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী লিটন চিহ্নিত মাদক কারবারী। সে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে মনসুর , সাধন, সাগর ও উজ্জল এর মাধ্যমে জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। ২৯-০৪-২০২৪ ইং তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামীদেরকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সময় জয়পুরহাট জেলার সদর থানাধীন ভাদসা গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল আটক করে। পরবর্তীতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে উক্ত আসামীদেরকে তল্লাশি করলে তাদের নিকট থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ১৮ গ্রাম গাঁজা ও ০৬ পিচ ট্যাপেন্টাডল উদ্ধার করা হয়।
মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।