চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় র্যাবের নামে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কারী মূলহোতা মোঃ শফিসহ ৪ জন চাঁদাবাজ’কে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭|
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় র্যাবের নাম ভাঙ্গিয়ে জনৈক মোঃ শফি নামে এক ব্যক্তি চাঁদা আদায় করছে মর্মে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম চাঁদা আদায়কারী মূলহোতা মোঃ শফি এবং তার অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় চাঁদাবাজ চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানাধীন এ-ব্লক বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় পাকা রাস্তার উপর বিভিন্ন বাস, টেম্পু ও সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের গাড়ি দাড় করিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ২১ এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ১৮৪৫ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। মোঃ শফি (৫৮), পিতা-মৃত আব্দুল ওদুদ, সাং-হালিশহর হাউজিং এস্টেট, থানা-হালিশহর, চট্টগ্রাম মহানগরী, ২। মোঃ আবুল কালাম আজাদ (৫৪), পিতা-মৃত সৈয়দুর রহমান, ৩। মোঃ রাশেদ (৩২), পিতা-মৃত মোঃ শফি, উভয়ের সাং-আব্দুল পাড়া (দক্ষিণ কাট্টলী), থানা-পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম মহানগরী এবং ৪। মোঃ শাকিল (২৮), পিতা-মৃত ইলিয়াস, সাং-পূর্ব হরিশপুর, থানা-সন্দীপ, জেলা-চট্টগ্রাম (বর্তমানে-বাসা নং-২৩, বি-ব্লক, থানা-হালিশহর, চট্টগ্রাম মহানগরী’দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশীকালে তাদের নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে বিভিন্ন গাড়ী হতে আদায়কৃত চাঁদার নগদ ৪৪,৪৫০/- টাকা উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে বিগত ৪/৫ বছর যাবৎ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সিএনজি, বাস, টেম্পু, মালবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন এর গতিরোধ করে অবৈধভাবে জোরপূর্বক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা আদায় করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, বিভিন্ন সময় র্যাবের একাধিক অভিযানের ফলে তারা কৌশল প পরিবর্তন করে রশিদের পরিবর্তে সিগারেটের প্যাকেটে হাতে নাম্বার লিখে টোকেন সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ড্রাইভারদের হুমকিসহ ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন গাড়ী হতে ২০ টাকা হতে ১,০০০/- টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় থাকে মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি এবং জব্দকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।