ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার গর্ব এশিয়ার সর্ব বৃহৎ বট গাছ যা কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব ৮ নং মালিয়াট ইউনিয়ন এর মল্লিক পুর গ্রামে অবস্থিত।
কেউ কেউ আবার সুইতলা মল্লিক পুর নামেও চেনে। উদ্দেশ্য ছিল এশিয়ার সর্ব বৃহৎ বটগাছ যেখানে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে।
আছে সেই বট গাছের কিছু ইতিহাস।
যা আমাদের জানা প্রয়োজন। আর তাই ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বিস্তারিত তুলে ধরতে চেস্টা করছি।
কারো কাছে বেথুলির বট গাছ, কারও কাছে মল্লিক পুর এবং কারো কাছে সুই তলা মল্লিক পুর নামে পরিচিত।
১১ একর জমির ওপর থাকা এই গাছটি ৪৫ টি তে রুপ নিয়েছে।
১৯৮২ সালের আগ পর্যন্ত এশিয়ার বৃহত্তম বট গাছ হিসাবে জায়গা করে নিয়েছিল কলকাতার বোটানিক্যাল গার্ডেনের একটি বট গাছ।
পরে বিবিসির প্রতিবেদনে, মল্লিকপুর এই গাছটি এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ বলে প্রচার করা হয়।
এই গাছ কে কেন্দ্র করে বাংলা ১৩৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেথুলী বা মল্লিকপাড়া বাজার। ঐতিহাসিক দিক বিবেচনা করে ইংরেজি ১৯৯০ সালে নগর চাপরাইল গ্রামের অত্যান্ত জনপ্রিয় ব্যাক্তি মাহতাবউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মো: ইউসুফ আলী বিশ্বাস এর নেত্তৃত্ত্বে বট গাছের পাশেই বনবিভাগের সহায়তায় প্রায় ১০০০০০০/-(দশ লাখ) টাকা ব্যয় করে একটি রেস্ট হাউজ নির্মান করা হয়।
বর্তমানে ১১ একর জমির উপর এই বিশাল গাছের অবস্থান। গাছটির উৎপত্তি সম্পর্কে কেউ সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য দিতে না পারলেও ২৫০–৩০০ বছরের পুরাণ বলে ধারণা করা হয়। গাছটি কে বা কারা লাগিয়েছে সে বিষয়ে কোন ধারণা দিতে না পারলেও।
জানা যায়,যে, এখানে আগে কুমার পরিবারের বসতি ছিল। কুমার পরিবারের কোন একটা কুয়ার মধ্যে এই গাছটির জন্ম। স্থানীয় দের মতে জানা যায়,
শত বছর আগে কচু তুল্যা নামে এক ব্যাক্তি বট গাছের ডাল কাটলে রক্ত বমি হয় এবং তিনি অসুস্থ হয়েযান, পরে তার স্ত্রী সেই বটগাছের ডাল ধরে কান্নাকাটি করলে তিনি ভালো হয়ে যান।
বট গাছটির কেন্দ্র করে তৈরি হয় বেথুলিো, বা মল্লিক পুর।
অএ গ্রামের বেলায়েত আলী বেচে থাকা পর্যন্ত তিনি এই গাছটি রক্ষনাবেক্ষন করতেন। বর্তমান গাছটি যশোর বনবিভাগ দেখা শুনার দায়িত্ব পালন করছে।
স্থানীয়দের আশা সরকারের ইচ্ছা থাকলে সকলের সহযোগিতায় এশিয়ার গর্ব বৃহত্তম এই গাছটি ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে এক বিস্ময় কর গাছ হিসাবে দর্শনার্থীদের মনে জায়গা করে নিবে।
এবং দেশ — বিদেশের অনেক পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে এই কামনায়… মল্লিক পুর বাসি।