কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং এর ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র ও গুলিসহ এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, জঙ্গী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক, অপহরণ ও গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতারসহ দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে সার্বক্ষনিক মনিটরিং’সহ প্রয়োজনীয় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প এলাকায় একজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৮ মার্চ ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৬.৩৫ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক বর্ণিত স্থানে একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং এলাকার ২২নং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের ব্লক-সি/১, এর সামনে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে একজন ব্যক্তি পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিক বলে জানা যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে ০১টি বিদেশী পিস্তল এবং ০২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিস্তারিত পরিচয় নজির আহম্মদ(২৮) (রোহিঙ্গা), পিতা-মৃত-জাফর আহম্মদ, মাতা-সৈয়দা খাতুন, (এফসিএন নং-২৪৪৩২১), বর্তমান সাং-উনচিপ্রাং ক্যাম্প নং-২২ ব্লক-সি/১, ব্লক মাঝি-নূরু জোহার, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নানাবিধ অপরাধ কর্মকান্ড সংঘঠিত করতো। ধৃত আসামী উক্ত অবৈধ অস্ত্র বেআইনি ভাবে নিজ হেফাজতে রেখে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা