মানুষ ও ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন জাগে মনের অন্তরায়।অথই নূরুল আমিন
প্রথম প্রশ্নটি হলো ধর্ম আগে না মানুষ আগে? মানুষ বড় নাকি ধর্ম বড়? মানুষের জীবন চলায় ধর্ম কেন আসলো? আদম থেকে আজ পর্যন্ত কোনো ধর্ম না থাকলে মানুষ বা সমাজের কি ক্ষতি হতো? তামাম পৃথিবী জুড়ে প্রায় চার হাজার তিনশতর মতো ধর্ম আছে। এর সবগুলো কি স্রষ্টায় সৃষ্টি করেছে? আসলে আদম থেকে আজ পযর্ন্ত। এই ধর্ম গুলো কি কখনও মানব সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা নিরাপত্তা দিতে কি আদৌ সম্ভব হয়েছে।
প্রাচীনতম ইতিহাস এবং বর্তমান মানব সমাজের দৈনন্দিন ঘটনা প্রবাহ যোগ করলে ফল কিন্তু একই পাওয়া যায়। সকল যুগে যেমন বিচারক ছিল। রাষ্ট্র পরিচালক ছিল। তেমনি অন্যায়কারী অপরাধী ছিল। যা আজও আছে। মানুষের জীবন যখন যাযাবর ছিল। তখনও মানুষেরা খুন ধর্ষণ ডাকাতি করত। আজকে যখন মানুষের ঘরে ঘরে শিক্ষা পৌঁছেছে। আজকেও এই সমাজে চুরি ডাকাতি খুন ধর্ষণ এমনকি আরো জগণ্য তম ঘটনাও অহরহ ঘটছে।
এমন একটা সময় ছিল। প্রাচীন মানুষেরা ন্যায় কোনটা অন্যায় কোনটা বুঝত না।তাই তাদের যা খুশি তাই করত। ধর্ম আসার পর পর কিন্তু ভালো কোনটা মন্ধ কোনটা। তা নিয়ে প্রচার প্রচারনা চলতে লাগলো। বিশেষ করে ভারতবর্ষে রীতিমতো ধর্ম চর্চা প্রতিদিনই চলে। এখানে কোনো ধর্মের পাঁচ হাজার বছর বয়স চলে। কোনো ধর্মের দুই হাজার চব্বিশ চলে। কোনো ধর্মের পনেরো বছরের বেশি চলে। এই ধর্ম এবং ধর্ম গুলোরা মসজিদে মন্দিরে গীর্জায় সহ বিভিন্ন প্রার্থনালয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ম বয়ান চলে। ভালো মন্ধ বিদ্যা শেখানো হচ্ছে। কিন্তু মানুষেরা তাদের নিজেস্ব চিন্তায় চলতে থাকে।
এই কথাটির সাথে অবশ্যই অনেকেই একমত হবেন। আসলে মানুষের জন্য যে ধর্ম চালু হয়েছে । উল্লেখিত ধর্ম চর্চা থেকে যখন একজন মানুষের জীবন কঠিন হয়। তার সংসার জীবনে সামাজিক ভাবে চলতে বাচতে গিয়ে যখন অর্থ সংকট দেখা দেয়। কারো জীবনে যখন প্রতিহিংসা দেখা দেয়। অনেকেই সুন্দর ভাবে জীবন চালাতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে অন্যজন। অনেকেই নির্দোষ থেকেও অন্যায়কারী সাব্যস্ত হয়। বিচারের কাঠগড়ায়। তখন তার মনের গতিটাকে ধর্মের দিকে আনতে পারে না।
আসলে ধর্ম পালন করার মতো পরিবেশ মানব সমাজে কোনো যুগেও ছিলনা। আজও নেই। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা মানুষের জীবনে জীবিকার তাগিদ যখন তাকে ক্লান্ত করে তুলে। অর্থ কষ্টের তাগিদে যখন তাকে জলদস্যু বনদস্যু চুরি ডাকাতি এমনকি খুন খারাপি পযর্ন্ত করতে হয়। সেখানে ধর্মের বিধান যেন এক হাস্যকর বিষয়। আর স্বর্গ লোভ তো তার কাছে একদম অবিশ্বাস্য।
বি: দ্র: এই লেখাটি কোনো ধর্মকে ছোট করে লেখা নয়। এই লেখার মুল অর্থ হচ্ছে। টাকা রুজি করে যেখানে জীবন চালাতে হয়। সেখানে স্রষ্টা এবং ধর্ম গুরুদের সততার আলোচনা যেন উলু বনে মুক্তা ছড়ানোর সমান। যেখানে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। সেখানে স্রষ্টার তপস্যা করতে বলুন কার সাধ জাগে?
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ।
২১.০৩.২০২৪