বিধবা শামীমার সম্পদ আত্মসাৎ করতেই মারধর
সদ্য বিধবা হওয়া ভাবীকে সকল সম্পদ থেকে বঞ্চিত করতে নানা বাহনা শুরু করেছে দেবররা, নিজের বাবা ভাইদের দেওয়া টাকা দিয়ে পাংশা শহরে একটি বাড়ী করেছেন, সেই বাড়ী দখলে নিতেও করছে পায়তারা, খোকসার কাদিরপুরে ভাড়া বাসা থেকে ফার্নিসার নিয়ে আসতে গেলে মারধর করে ফার্নিসার আটকে রেখে এক প্রকার অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ করেন সদ্য বিধবা নিঃসন্তান শামীমা সুলতানা।
চলতি বছরের ২১ ফ্রেরুয়ারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীমা সুলতানার স্বামী মোশারফ হোসেন লাল্টু ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সেখান থেকে তার লাশ নিয়ে এসে কাদিরপুরে দাফন করা হয়। মোশারফ হোসেন লালটু এনজিওসহ বেশ কিছু ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে কাদিরপুরের বাসায় কথা হয় শামীমা সুলতানার সাথে তিনি বলেন- চিকিৎসার জন্য কোন টাকায় ব্যায় করেনি তার ভাইয়েরা, আমার স্বামীর ব্যবসার টাকা দিয়ে আমার বোনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমি তার চিকিৎসা করিয়েছি, আমি আমার সর্বত্রই দিয়ে চেষ্টা করেছি, আমি পারিনি তাকে বাঁচাতে।
শামীমা বলেন, আমার বাবার জমি বিক্রি করে আমাদের ভাই বোন মিলে পাংশা শহরের কুড়াপাড়া এলাকায় একটি বাড়ী করেছি। এখন সে বাসায় যাওয়ার জন্য গতকাল রবিবার সন্ধ্যার পর আমাদের ভাড়া বাসা থেকে ফার্নিসার নিয়ে পাংশায় নিজের বাসায় যেতে প্রস্তুত হচ্ছিলাম, এমন সময় আমার স্বামীর ২ ভাই রফিকুল ইসলাম বাবু, সেলিমুর রহমান মিন্টু, তার বোন পারভীন ও আমার স্বামীর এক সময়ের কর্মচারী মনিরুজ্জামান লিটন আমার ও আমার বোন একজন চাকুরীজীবি সালমা খাতুনকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এ ঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ করেছি, থানা পুলিশ অত্যান্ত আন্তরিক ভাবে রাতে আমাদের বাসায় পৌঁছে দিয়ে গিয়েছে এ ঘটনার আমি বিচার চাই, আমি একজন বিধবা নারী আমার স্বামীর সকল সম্পদ দখল করে আমাকে বঞ্চিত করার সকল পায়তারা করেছে তারা, আমার গায়ে হাত দিয়েছে, আমি এ ঘটনার বিচার কামনা করছি।
শামীমা সুলতানা আরো বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর লাশ দাফনের পরপরই আমার বাসা থেকে জোর করে ৪০ লক্ষ টাকার চেক ও প্রায় ২০/২৫ টা ব্লাংক চেক, জমির দলিল তারা নিয়ে গেছে এবং বিভিন্ন ভাবে আমাকে মিথ্যা বদনাম দিয়ে তারানোর চেষ্ঠা করছে, আমি অসহায় আমার বাবা নেই স্বামী নেই সন্তান নেই এ জন্যই আমার সাথে এরুপ করছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন করছি আমার মত একজন অসহায় নারীর সাথে যে আচরণ করা হচ্ছে এর সঠিক বিচার চাই। শামীমার বোন সালমা খাতুন বলেন আমাকে মারধর করে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে, আমার নিকট থেকে টাকা নিয়ে চিকিৎসা করায়ছে, আমার বোনের সুখের জন্য আমি দিয়েছিলাম, এ ঘরের বেশির ভাগ জিনিসপত্র আমার বাবার টাকায় করা, আজ এই আসবাবপত্র নিতে গিয়ে মারধরের শিকার আমিও হলাম, এর বিচার কি আমরা পাব না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বাবু ও সেলিমুর রহমান মিন্টু তারা বলেন, ভাবীকে আমরা মারিনি সে রাতের আধারে জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল আমরা তাকে বাধা দিয়েছি, সে পরোকিয়া করে আমাদের ভাইকে চিকিৎসার নামে পরোকিয়া প্রেমিকের সাথে যুক্তি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অনেক হিসাব নিকাশ আছে এ জন্য বসে বিষয়টি সুরাহা করার দরকার তাই ফার্নিসার নিয়ে ওই বাড়ীর মালিকের ঘরে রেখে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ আননুর জায়েদ বলেন, বিষয়টি শুনেছি তবে এখন কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত