বেনাপোলে নিখোঁজ তৃতীয় লিঙ্গের রেশমার লাশ গোরস্থান থেকে উদ্ধার গ্রেফতার-০১, বিভিন্ন আলামত উদ্ধার।
ঘটনা ও গ্রেফতারের বিবরণঃ
জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় ডিবির এলআইসি টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ইং ১১/০৩/২০২৪ তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন কাগজপুকুর গ্রামের বাসিন্দা তৃতীয় লিঙ্গের শেখ রেশমা হিজড়া, পিতা- জাকির হোসেন কে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় রেশমা হিজড়ার পারিবারিক (পুরুষ বন্ধু) ফারুক হোসেনকে ডিবি’র একটি চৌকশ টিম গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক বেনাপোল পোর্ট থানাধীন কাগজপুকুর কেন্দ্রীয় গোরস্থানের উত্তর-পশ্চিম কোনে ৩ ফুট মাটির নীচে পুতে রাখা অবস্থায় রেশমা হিজড়ার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আসামী ফারুক এর স্বীকারোক্তি মতে বিভিন্ন স্থান নিহত রেশমা হিজড়ার আগুনে পুড়ানো ২টি মোবাইল ফোন, কাপড় চোপড়, হত্যা কাজে ব্যবহৃত সাবল, লাশ গুমের কাজে ব্যবহৃত কোদাল উদ্ধার করেন আভিযানিক টিম।
ঘটনা সংক্রান্তে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা নং-১৯, তাং-১২/০৩/২০২৪ খ্রিঃ ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে রেশমা হিজড়ার পারিবারিক (পুরুষ বন্ধু) ফারুক হোসেন তার সহযোগীরা ইং ০৩/১১/২০২৪ তারিখ রাতে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে গলায় ফাস দিয়ে শ্বাস রোধ করে, মাথায় শাবল দ্বারা আঘাত করে ও গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে লাশ কাগজপুকুর গোরস্থানে পুতে গুম করে।
আসামীর তথ্যঃ
১। মোঃ ফারুক হোসেন (২৫), পিতা- মৃত নুর ইসলাম, মাতা- মৃত রিজিয়া খাতুন, সাং-কাগজপুকুর , থানা-বেনাপোল পোর্ট, জেলা-যশোর।
উদ্ধারকৃত আলামতঃ
১। আসামীর ব্যবহৃত ২টি মোবাইল।
২। ভিকটিমের মৃত দেহ।
৩। ভিকটিমের কাপড়চোপড়।
৪। ভিকটিমের মোবাইল আগুনে পুড়ানো।
৫। ভিকটিমের স্কুটি।
৬। হত্যাকাজে ব্যবহৃত সাবল ও লাশ গুমের কাজে ব্যবহৃত কোদাল।
“বাংলাদেশ পুলিশের শপথ-দেশের মানুষকে রাখবো নিরাপদ,
সত্য উদঘাটনে বদ্ধ পরিকর, যশোর জেলা পুলিশ”