ঈদগাঁওতে রোজার পণ্যের চড়া দাম : হিমশিমে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবার
পবিত্র মাহে রমজান দুয়ারে কড়া নাড়ছে। আর মাত্র একদিন বাকী। অস্বস্তিতে ক্রেতারা। হিমশিমে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। রমজানের বাজার করতে বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে ক্রেতাদের ভীড় যেন লক্ষণীয়। ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে চিনি,খেজুর, পেঁয়াজ,আদা,রসুন,ছোলা, মাছ-মাংসের বাজার এখন চড়া। ৯ মার্চ (শনিবার) কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও রমজান শুরুর সপ্তাহ আগে থেকেই বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তিতে রয়েছে। ক্রেতারা বলেছেন, রমজানে এবার খেজুর, ছোলা, চিনি,পেয়াজ,আদা,রসুনসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়তি, কিছু পণ্যে আবার অতিরিক্ত। যা সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে। বাজারে সাধারণ মানের খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২শত থেকে ৩শ ৫০ টাকা, আরো অনেক দামের রয়েছে। এছাড়াও ছোলা কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। রমজানের আরেক পণ্য চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকা,দুধ ১শ থেকে ৪৪০,তেল ১৬৫,ট্যাং সাধারণ ৯শ,সাদাবুট ৭৫,ঘি ৮০/১৫০ (ছোট), মুড়ি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। রমজান ঘনিয়ে এলেও কমছেনা পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ মসলা পণ্যের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১০৫ থেকে ১৩৫ টাকায়, আদা ২০০, রসুন ২০০ টাকায়। বাজারে চালের দামও বেড়েছে মোটামুটি ভাবে খোলা চাল কেজি (নিন্ম) ৬০ টাকা, মিনিকেট ২৮ চাল বস্তা ২৯শত,হরি ধানের চাল ২২শত ৫০,অন্যান্য চাল ২৭শত,২ হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও বাজারে বাড়তির দিকেই রয়েছে সব ধরনের মাছ ও মুরগি বাজার। রমজানে বিশেষ করে গরুর মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় ভোক্তাকে গুনতে হয়েছে বাড়তি দাম।বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয় ২শ থেকে ২শ ১০ টাকা আর লাল মুরগি বিক্রি হয় ৩শ ৪০ টাকায়। তবে কাঁচামরিচ কেজি ৪০ টাকা, দেশী আলো ৬৫ টাকা, শষা ৬০ টাকা আর টমেটো ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার তেলাপিয়া কেজি আড়াইশ টাকা, বাটা মাছ ৬শ, গুল্লা মাছ ৭শ, বড় চিংড়ি ১২শত টাকায় বিক্রি করা হয়। অন্যান্য জাতের মাছের দামও কিন্তু কম নয়। পেঁয়াজ ও রসুন ব্যবসায়ী প্রিয়রঞ্জন জানান- রমজানে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকার পরেও মোটামুটি পর্যায়ে পণ্যে সামগ্রীর দাম রয়েছে। মুদির দোকানদার আবুল বশর জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মালামালের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও কিছু কিছু পণ্যের দাম দ্বিগুণ। নিম্, মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন যাতে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে সেদিক বিবেচনায় রেখে পণ্যে সামগ্রীর দাম কমানোর দাবিও জানান তিনি।