জমজমাট আয়োজনে আয়োজিত বশেমুরবিপ্রবি ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষা সমাপনী
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি)
ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী জলতরঙ্গ -১ জমজমাট আয়োজনে আয়োজিত হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে পবিত্র ধর্মীয়গ্রন্ত পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাপনী অনুষ্ঠান।এরপর বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি ও সন্মানীয় শিক্ষকমন্ডলী এবং শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন সংবর্ধনা স্মারক।
প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্য ড. এ.কিউ. এম. মাহবুব এবং বিশেষ অথিতি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য ড. সৈয়দ সামসুল আলম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মুবারক হোসেন, কৃষি অনুষদের ডিন ড. নাজমুল হক, প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো: শরাফত আলী ও ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি নিয়াজ আল হাসান।
দেওয়া হয় এশার সালাতের বিরতি। বিরতির পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অংশগ্রহন করে ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। যেখানে শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে গান, নাচ, আবৃত্তি ও র্যাম্প শো। এছাড়াও অংশগ্রহন করে পথের বাউল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ব্যন্ড সাদা-কালো। তাদের গানে-গানে ও সুরে-সুরে মাতিয়ে রাখে বশেমুরবিপ্রবির ফিশারিজ পরিবারকে।
সমাপনী উপলক্ষ্যে ফিশারিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হোসাইন বিশ্বাস বলেন,”দেখতে দেখতে ৫ টি ফিশারিজ পরিবারের সাথে কাটিয়ে ফেলেছি। ছোটদের সাথে যে খুনসুটিগুলো আর সাথে জরিত তাদের প্রতি অনুশাসনগুলো সব মিলিয়ে খুব মিস করবো।তবুও এই মুহুর্তগুলোকে ধরে রাখতে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে জলতরঙ্গ-০১ শিক্ষা সমাপনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা শেষ হয়েছে। ভালো লাগছে আমাদের এই জন্য যে, তাদের সবাইকে এইভাবে একযোগে একসাথে হতে দেখে। আমরা যখন দূরে থাকবো আসলে যেতে তো হবেই তাদের প্রাণগুলোকে আবারো যখন একসাথে দূর থেকে দেখবো সেই অমূল্য মূহুর্তে কি যে ভালো লাগবে বলে বোঝাতে পারবো না।”
তিনি আরও বলেন,”হুমায়ুন আহমেদ স্যার বলতেন, পৃথিবী নাকি শুন্যস্থান পছন্দ করে না। তিনি বলতেন কিছু না কিছু, কেউ বা কেউ সেই শুন্যস্থান পূরণ করে। আমার মতে কথাটা খুব একটা সত্য না, কিছু শুন্যস্থান আজীবন বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়। পুরো পৃথিবী ঢেলে দিলেও সেই শুন্যস্থান পূর্ণ হয় না, উহু কোনোদিন হয় না, কিছুতেই হয় না।”
এ সম্পর্কে ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের সভাপতি নিয়াজ আল হাসান বলেন,”আজকের এই সমাপনী অনুষ্ঠান “জলতরঙ্গ” এর মাধ্যমে ফিশারিশ পরিবার থেকে বিদায়ী দেয়া ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী তাদের কর্মক্ষেত্রে স্ব স্ব অবদানের মাধ্যমে আমাদের মৎস্য সেক্টরকে আরো ত্বরান্বিত করবে। এছাড়া তারা শুধু দেশে নয় দেশের সীমানা পেড়িয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দিয়ে সেখানেও তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখবে বলে আশা করি। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অগ্রজেরা তাদের ভবিষ্যত ঈর্ষণীয় অবস্থানের জন্য এই বিভাগে বিদ্যমান ও অনাগত অনুজদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।”