র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর অভিযানে নোয়াখালীর সুবর্ণচর হতে ডাকাতি, অপহরণ ও অস্ত্র মামলায় ৮৪ বৎসরের সাজাপ্রাপ্ত এবং একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত ০১ জন চাঞ্চল্যকর অপরাধী গ্রেফতার।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, মাদক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০২ মার্চ ২০২৪ইং তারিখ নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর এলাকায় সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ১। জিআর – ১৬/০৭ মামলায় ৩২ বছরের সাজা, ২। জিআর- ৫৪/০৯ মামলায় ১৮ বছরের সাজা, ৩। এসটিসি-১৫/০৭ মামলায় ২৪ বছরের সাজা এবং ৪। এসসি-১০১/১১ (মনপুরা) মামলায় ১০ বছরের সাজা সর্বমোট ৮৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ও আরো ০২টি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ জসিম(৩৯)কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ জসিম(৩৯) নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানাধীন মাইজছড়া গ্রামের মৃত আবুল হাশেম ভান্ডারী এর ছেলে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ জসিম(৩৯) পেশায় একজন জলদস্যূ ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। সে ও তার বাহিনীর সদস্যরা উপক‚লবর্তী এলাকায় ডাকাতি, চাঁদাবাজী, অপহরণ, দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধের সাথে জড়িত। উপক‚লবর্তী এলাকার লোকজন তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সর্বদা আতঙ্কগ্রস্থ থাকে। তার নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, চট্টগ্রাম জেলার স›দ্বীপ ও ভোলা জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় জেলেদের অপহরণ করতঃ মুক্তিপণ আদায় করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিলো। উপক‚লের লোকজন তাদের এরূপ কার্যকলাপে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করতো না।
কেউ প্রতিবাদ করলে তার বাহিনীর লোকজন কর্তৃক উক্ত ব্যক্তিকে মারধর সহ নির্যাতন করতো। তার বিরুদ্ধে ভোলা জেলার মনপুরা ও চরফ্যাসন থানায় ডাকাতি, অপহরণ ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। উক্ত মামলা সমূহে সে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলা সমূহে বর্ণিত আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা পরোয়ানা ইস্যূ করেন। র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর চৌকস আভিযানিক দল জলদস্যূ নেতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ জসিম(৩৯)কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরম্ভ করে। পরবর্তীতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল ০২/০৩/২০২৪ ইং তারিখ তথ্য প্রযুুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত আসামীকে গ্র্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।