চাঞ্চল্যকর রাজধানীর খিলখেত থানা এলাকায় দৈনিক বণিক বার্তার বিজ্ঞাপন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম কাওছার (৩৮)’কে নৃশংসভাবে হত্যা করে বস্তায় ভরে গুমের মামলায় মৃত্যুদন্ড সাজাপপ্রাপ্ত মামলার প্রধান আসামি এ এম এম ফয়সাল @পেডি (৩১)’কে দীর্ঘ ০৯ বছর পলাতক থাকার পর ডিএমপির তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর রাজধানীর খিলখেত থানা এলাকায় দৈনিক বণিক বার্তার বিজ্ঞাপন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম কাওছার (৩৮)’কে নৃশংসভাবে হত্যা করে বস্তায় ভরে গুমের মামলায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত সহ মোট ০২ টি হত্যা মামলার প্রধান আসামি এ এম এম ফয়সাল @পেডি (৩১), পিতা- মৃত মাহতাব উদ্দিন, থানা-গাংনী, জেলা মেহেরপুর’কে গতকাল ২৬/০২/ ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১৮.১০ ঘটিকায় দীর্ঘ ০৯ বছর পলাতক থাকার পর ডিএমপির তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কাউছার (৩৮) বনিক বার্তা পত্রিকার বিজ্ঞাপন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন ১৫/০৯/২০১৫ ইং তারিখ প্রতিদিনের ন্যায় সকাল আনুমানিক ০৯.০০ ঘটিকায় বাসা হতে মোটর বাইক যোগে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হন।
অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার সময় হলেও ভিকটিমের বাসায় আসতে দেরী দেখে তার স্ত্রী তার স্বামীর মোবাইলে কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার অফিসসহ আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যোগাযোগ করেন। কোথাও ভিকটিমের সন্ধান না পাওয়ায় ভিকটিমের স্ত্রী তেজগাঁও থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন (তেজগাঁও থানার সাধারন ডায়রী- ৯৮১/১৫ তাং-১৬/০৯/২০১৫ইং)।
পরবর্তীতে ঘটনার তিন দিন পর ১৮/০৯/২০১৫ ইং সকাল আনুমানিক ০৯.০০ ঘটিকায় লোক মারফত জানতে পারেন যে, খিলক্ষেত থানাধীন নামাপাড়া বোডঘাট এলাকায় ৩৫/৩৬ বছর বয়সের একজন অজ্ঞাতনামা পুরুষ মানুষের লাশ একটি বাড়ীর ৫ম তলায় লাগেজের মধ্যে রয়েছে।
ভিকটিমের স্ত্রী খিলক্ষেত থানা পুলিশের সহায়তায় উক্ত স্থানে বাড়ীটির ৫ম তলায় ফ্লাটের রুমের ভিতর লাগেজ হতে গলায় বৈদ্যুতিক তার প্যাঁচানো ও চোখ গামছা দিয়ে বাঁধা, সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তার স্বামীর লাশ সনাক্ত করে।
এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী খিলক্ষেত থানায় এ এম এম ফয়সাল @পেডি (৩১)’কে প্রধান আসামি ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা (খিলক্ষেত থানার মামলা নং- ১৬(০৯)১৮, ধারা-৩০১/২০১/৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই আসামি পলাতক ছিলেন।
পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে এ এম এম ফয়সাল পেডির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালত বিচারকার্য শেষে আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ড সাজা প্রদান পূর্বক পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন।
গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামি এ এম এম ফয়সাল @পেডি দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে রয়েছে মর্মে তথ্যের ভিত্তিতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি এ এম এম ফয়সাল @পেডি’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-২ অভিযান পরিচালনা করে গতকাল ২৬/০২/২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ১৮.১০ ঘটিকায় রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য যে, উক্ত মামলা ছাড়াও আসামি ফয়সাল পেডির নামে দুটি হত্যা মামলা এবং একটি বিস্ফোরক আইনের মামলার রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে র্যাব-২ এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঠিকানাঃ অস্থায়ী কার্যালয়ঃ হাউজিং নং – ১১১ (নিচ তলা), রোড নং-১১, ই-ব্লক, ইাউজিং এস্টেট, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া।
কপিরাইট © ২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত