“দূরে গিয়ে ধূমপান করতে বলায় কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ” শিরোনামীয় চাঞ্চল্যকর “সালমান খন্দকার” হত্যা মামলার পলাতক আসামী মোঃ অপু (১৮)’কে ২৪ ঘন্টার মধ্যে র্যাব-১১, সিপিসি-১ কর্তৃক গ্রেফতার।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ধঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এাছাড়াও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নিবিড় গোয়েন্দা নজরদারী ও পরিকল্পিত আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধী গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-১ নারায়ণগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ ডিএমপি ঢাকা জেলার শাহজাহানপুর থানাধীন উত্তর শাহজাহানপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উপরোক্ত চাঞ্চল্যকর সালমান খন্দকার হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৩ নং আসামী মোঃ অপু (১৮) (নব মুসলিম)’কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায় যে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম সালমান খন্দকার (১৮) এবং তার দুই বন্ধু ১। মোঃ শুভ (১৭) ও ২। মোঃ জুম্মান (১৭)’দ্বয়ের সাথে একত্রে ফতুল্লা মডেল থানাধীন দেলপাড়া ১০ তলা বিল্ডিং সংলগ্ন খালী মাঠে গল্প করার সমায় ১ নং আসামী মোঃ জাহিদ (২০) তাদের পাশে দাড়িয়ে ধূমপান করলে ভিকটিম ও তার বন্ধুরা অন্যত্র সরে গিয়ে ধূমপান করতে বললে ১ নং আসামী মোঃ জাহিদ (২০) ভিকটিমের উপর চড়াও হয় এবং তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
একপর্যায়ে আসামী ১। মোঃ জাহিদ (২০), ২। সাজ্জাদ (১৯), ৩। মোঃ অপু (১৮)’সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন আসামী ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে একই উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে কাঠের ডাসা ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের বন্ধুরা তাকে বাসায় নিয়ে আসার পর ভিকটিম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভিকটিমের পিতা মোফাজ্জল খন্দকার (৫৬) ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ, মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকায় নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম সালমান খন্দকার (১৮)’কে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ রাত্র অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় মৃত বলে ঘোষনা করেন।
ঐ রাতেই ভিকটিমের পিতা ভিকটিম সালমান খন্দকারের মৃত দেহ নিয়ে বাসায় আসলে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ সংবাদ পেয়ে বাসায় এসে মৃত সালমান খন্দকারের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ভিক্টোরিয়া, নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।
পরবর্তীতে নিহত ভিকটিম এর পিতা মোফাজ্জল খন্দকার (৫৬) ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪৫/১০০, তারিখ-২৪/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত