এ বিষয়ে আহত আশিকুজ্জামান শুভ বলেন, একটি মামলার হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে একাই মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। রাজ্জাক মোড়ে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন মোল্লার লোকজন আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১৫ থেকে ২০ জন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে। চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে আমাকে ফেলে তারা পালিয়ে যায়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, আহত যুবকের হাত ও পায়ে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উজানগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন মোল্লার সঙ্গে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির লিপটনের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে কয়েক দফায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি মামলায় আসামি করা হয়েছে দুই পক্ষের সমর্থকদের।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে উজানগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক আহত হয়েছে। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।