বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪খ্রিঃ তারিখ চট্টগ্রাম এবং ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক ০২টি অভিযান পরিচালনা করে ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে সক্ষম হয়। বিস্তারিক নিম্নরুপঃ
ক। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপোলস্থ ফেনী-সোনাগাজী রাস্তার মাথায় মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ গাড়িতে উঠার জন্য অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১৬৫৫ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে উপস্থিত হওয়া মাত্রই র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ০২ জন ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা আসামি ১। মোহাম্মদ ইলিয়াছ (৩৩), পিতা-মৃত ইসমাইল, সাং-পাহাড়তলী এবং ২। মোঃ আঃ রশিদ (৫১), পিতা-মৃত আজগর আলী, সাং- মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়া, উভয়ের থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার’দ্বয়ের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে তাদের দেখানো ও সনাক্তমতে তাদের হেফাজতে থাকা ০২ টি ব্যাগের মধ্যে বিশেষভাবে রক্ষিত ২২টি বায়ুরোধ পলিজার হতে সর্বমোট ৮ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দসহ আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে ফেনী, কুমিল্লাসহ আশেপাশের জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে । উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ২৭ লক্ষ টাকা।
খ। এছাড়াও অপর একটি সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে যাত্রীবাহী বাসযোগে বান্দরবান হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ২৩৪৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজা সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র্যাবের চেক পোস্টের দিকে আসা সন্দেহজনক শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস নামীয় যাত্রীবাবী একটি বাস’কে থামানোর সংকেত দিলে বাস থেকে নেমে সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে রাকিব ভূঁইয়া (৩৪), পিতা-নোয়াব ভূঁইয়া, সাং-হাসনাবাদ, থানা-রায়পুরা, জেলা-নরসিংদী’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামি’র স্বীকারোক্তি এবং দেখানো মতে তার কাধের ব্যাগ হতে ০২টি বিস্কুটের প্লাষ্টিকের বৈয়ামে বিশেষ কৌশলে বিস্কুটের সাথে মিশানো অবস্থায় রক্ষিত ১৭টি বায়ুরোধক পলিজার প্যাকেট হতে সর্বমোট ৩ হাজার ২৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দসহ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে আটককৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে সুকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বান্দরবান হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে ঢাকা, নরসিংদীসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামি ও উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে ফেনী মডেল থানায় এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত