ফতুল্লায় হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি অজ্ঞাত লাশের রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ৭০ দিন পর ঢাকার শ্যামপুর থেকে চাঞ্চল্যকর হত্যার প্রধান আসামি সাব্বির হোসেনকে গ্রেফতার ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে ডিএমপি ঢাকার শ্যামপুর থানার জুরাইন এলাকায় র্যাব-১১ ও র্যাব-১০ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদমজীনগর র্যাব-১১’র কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অধিনায়ক লে: কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা এ তথ্য জানান।
সম্মেলন র্যাব-১১’র অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার সিএসআরএম ডেইরী ফার্মের সামনে রাস্তায় সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর রশি দিয়ে হাত, পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে মোড়ানো অর্ধগলিত অবস্থায় একটি মৃত দেহ পাওয়া যায়। পরে মৃতের কোন পরিচয় সনাক্ত করতে না পারলে মাইকিং করে পরিচয় সনাক্ত করার চেষ্টা করে পুলিশ। মৃত ব্যক্তির পরিচয় উদ্ধসঢ়;ঘাটনের লক্ষ্যে ডিএনএ সংরক্ষণের আবেদনসহ মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরিচয় সনাক্ত না হওয়ায় ফতুল্লা মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে ছবি পরিহিত পোশাক দেখে তার পরিবার ভিকটিম মো: রানা (২৮), পিতা- মৃত আব্দুল করিম, সাং- শ্যামপুর ব্রীজ, জুরাইন, থানা-কদমতলী, জেলা-ঢাকাকে সনাক্ত করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) র্যাব-১১ এবং র্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে এই নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সাব্বির হোসন (২০)কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সাব্বির হোসন ঢাকা কদমতলী থানার জুরাইন শ্যামপুর ব্রীজ এলাকার খোকন মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া আ: রাজ্জাকের ছেলে।
র্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় আসামী সাব্বির ও নিহত রানা পূর্ব পরিচিত ও একই এলাকার বাসিন্দা। আসামী সাব্বির ও সাব্বিরের ভাই সাজ্জাদ এবং রানার মধ্যে টাকা-পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য সাব্বিরের বাসায় একত্রে মিলিত হয়। টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামী সাব্বির ও তার ভাই সাজ্জাদ রানার বুকে আঘাত করে। এতে রানা মাটিতে পড়ে যায়। আসামীরা রানার মৃত্যু নিশ্চিত করে তার হাত, পা রশি দিয়ে বেঁধে কম্বল মুড়িয়ে বস্তাবন্দি করে দুই তিনদিন সাব্বিরের রুমে লুকিয়ে রাখে। পরে গত ৯ ডিসেম্বর লাশটি ফেলে রেখে যায়।