আনুমানিক চার হাজার বছরের লেখালেখির ইতিহাসে গভীর থেকে গভীর প্রেম ভালোবাসার ইতিহাস খুব জোরালো ভাবে পাওয়া যায়। যদি ও লাইলী মজনু, শিরি ফরহাদ, রজকিনী কালিদাস, দেবদাস পার্বতীসহ নানারকম প্রেম কাহিনি আমাদের ভারতবর্ষের জনগণের মুখে মুখে মুখরোচক আলোচনায় ভরপুর আছে। আসলে বিগত চার হাজার বছরের ইতিহাসে এর চেয়েও কঠিন থেকে কঠিন প্রেম ভালোবাসার ঘটনা ঘটেছে অহরহ। প্রেম ভালোবাসার পক্ষে বিপক্ষে যুগ যুগ ধরে যুদ্ধ হয়েছে। রণক্ষেত্র হয়েছে। অনেক প্রেমিক বা প্রেমিকার নিরপরাধ পিতা মাতাকে অন্যায় ভাবে কষ্ট দেয়া হয়েছে। জেল জরিমানা মৃত্যুদণ্ড সহ আর্থিক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। এই প্রেমের জন্য রাজা রাজ্য ছেড়েছে। এক দেশ থেকে অন্য দেশের বাসিন্দা হয়েছে। প্রেমের উল্কা হাওয়ায় যুগে যুগে মানুষেরা মাতাল হয়েছে। এখানে কিছু বেরসিক দল এই প্রেম ভালোবাসার আজীবন বিরোধীতা করে আসছে। তবে ধর্মীয় বিধানের দোহাই দিয়ে যারা ভালোবাসা দিবসের বিরোধীতা করছে। ওরা হীনমনা। ওদের মগজ ধোলাই করা। ওরা জানেই না। পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় এবং সবচাইতে বেশি ভক্ত রয়েছে। ঐ ভালোবাসা দিবস পালনের জন্য। এখানে কেউ প্রকাশ্যে কেউ গোপনে কেউ মনে মনে। ভালোবাসা দিবস পালনের ভক্তরা হলো কুড়ি বছর থেকে মৃত্যুর আগ পযর্ন্ত পৃথিবীর প্রতিটা নর নারী ভালোবাসা দিবস পালন করে। ধর্ম হচ্ছে মনের বিলাপ। মানুষ পৃথিবীতে যেমন আগে এসেছে। তেমনি সকল ধর্মের আগে মানব মানবীর মাঝে প্রেম ভালোবাসার সৃষ্টি হয়েছে। তারও সহস্র বছর পর থেকে ধর্ম আবিস্কার শুরু হয়। এবং মানুষের জন্য সবচেয়ে ভালো মতভিন্নতার কারনে শতবার ধর্ম পরিবর্তন হয়েছে। ধর্মীয় বিধান বহুবার কাটসার্ট হয়েছে। কিন্তু প্রেম ভালোবাসার জন্য কষ্ট করে কারো কোনো বিধান সৃষ্টি করতে হয়নি। প্রেম ভালোবাসা হলো মানব জনমের জীবন্ত এক তরী। যাকে চালাতে গিয়ে যেমন কোনো রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় স্বীকারোক্তি বা স্বীকৃতির প্রয়োজন হয়না। এমনকি কোনো বিদ্যাপিঠ থেকে তা শিখেও নিতে হয়না। প্রেম ভালোবাসা ধনী গরিব এমনকি ভবঘুরে মানব মানবীর জীবনেও আসে। আমার এই কলামে আজকে ভালোবাসা দিবসকে পৃথিবীর সবচাইতে বড় এবং প্রয়োজনীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছি। অনেকেই ফেসবুকে পোষ্ট দিচ্ছে ভালোবাসা দিবস মানে না। ভালোবাসা দিবস ভালো না। ভালোবাসা দিবস ইসলাম পছন্দ করে না। আমি বলি ওরা মুর্খ নয়তো জারজ। ওরা জানেই না সারা বিশ্বের মাত্র সাতাইশ ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মের। তাহলে বাকিরা কি ওদের এই কাকুতি মানবে? না মানবে না। পৃথিবীর কোনো ধর্মেই কোনো জাতির ব্যক্তি চেতনাকে হরণ করার ক্ষমতা দেয়া হয়নি। জয় হউক ভালোবাসা দিবসের। জয় হউক সকল ভালোবাসার। ভালোবাসার জয় থেকে জয়ী হউক মানবতার। অথই নূরুল আমিন সমাজ চৈতন্য ও অধঃপতন বিশেষজ্ঞ ঢাকা 14/02/2024
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত