মেয়াদত্তীর্ন শ্বশ্মান কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি করার দাবিতে, রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের, বি-কয়া সার্বজনীন মহাশশ্মান কমিটির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে, মেয়াদত্তীর্ন কমিটির এক স্কুল শিক্ষক গনপিটুনির স্বীকার। নতুন কমিটি করার পক্ষে কথা বলায়, এক সাধুর বাড়ি ঘরে হামলার চেষ্টা । প্রশাসন এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতার প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে। প্রবাহমান গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত, প্রায় দুইশত বছরের প্রাচীনতম,বি-কয়া সার্বজনীন মহাশশ্মান। দুটি উপজেলা (পাংশা, কালুখালী) ও তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ টি'র অধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী গ্রামের মানুষের মৃত দেহ সৎকার হয়ে থাকে এই শশ্মানে। দুঃখের বিষয় হলো- এতোদিন শশ্মানটির নিজ নামে কোনো নিজস্ব জমি ছিল না। ছিলো না কোনো কমিটিও। নদীর চড়বর্তী হওয়ায় চড়ের উপর কোনো রকমের চিতা তৈরী করে শব দেহ সৎকার করা হয়ে আসছিল। এ বিষয়ে শশ্মান কমিটির একজন উচ্চপর্যায়ের নেতা জানান, ইতিপূর্বে হিন্দু গ্রাম গুলোর মানুষের নিজস্ব অর্থায়নে তিনটি পর্যায়ে ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে ইংরেজি ২০১৬ সালে শশ্মানটি সংস্কার করা হয়। এ সময় বাবু রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে সভাপতি এবং স্থানীয় নিমাই চন্দ্র বিশ্বাস'কে সাধারণ সম্পাদক করে, তিন বছর মেয়াদি একটি কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটির নেতৃত্বে সরকারি এবং বেসরকারী বিভিন্ন মহলের সহযোগিতায় শশ্মানে মাটি ভরাট এবং নদী ভাঙ্গন রোধ করে একটি শব দেহ স্নাগার,একটি আশ্রয় ঘর ও একটি মন্দির সহ,শশ্মানের বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি করে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়। পরবর্তীতে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কমিটির সভাপতির অজান্তেই হঠাৎ করে সাধারণ সম্পাদকের পদ বহাল রেখে অন্য আর একজনকে সভাপতি করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। তখনি শুরু হয় গ্রুপিং। কমিটি নিয়ে সর্বমহলে বিতর্ক তৈরী হতে থাকে। হঠাৎ করেই ঐ বিতর্কিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিমাই বিশ্বাস অকাল মৃত্যুবণ করেন। সেখানেও আর এক বিতর্কিত লোক'কে সাধারণ সম্পাদক করা হলে গ্রুপিং চরমে রুপ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল (১২ ই ফেব্রুয়ারি ) সকালে শশ্মানের বতর্মান বিতর্কিত কমিটির নেতৃত্ববৃন্দ সংস্কার কাজ করতে গেলে, বঞ্চিত গ্রুপের লোকজন বাধা দিলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিতর্কিত গ্রুপের প্রান বিশ্বাস নামের একজন স্কুল শিক্ষককে গনপিঠুনি দেয় বঞ্চিত গ্রুপের লোকজন। তখন কমিটির বিতর্কিত ক্যাশিয়ার পরেশ চন্দ্র জোয়াদ্দার সামান্য মারপিট খেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বিতর্কিত গ্রুপের লোকজন বঞ্চিত গ্রুপের শশ্মান সংলগ্ন অজিত সাধুর বাড়িতে আক্রমণের চেষ্টা করলে বঞ্চিত গ্রুপের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। আজ (১৩ ই ফেব্রুয়ারি ) সকালে বঞ্চিত গ্রুপের লোকজন শশ্মানে গিয়ে পুরো শশ্মানটি তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষনা করতে গেলে, সাওরাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে শিঘ্রই সবাইকে নিয়ে নতুন কমিটি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়দের দাবী অবিলম্বে বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত করে গ্রহণযোগ্য এবং ডোনার ব্যাক্তিদের সমন্বয়ে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হোক।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত