প্রসঙ্গ রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রীয় পরিচালকগণ। অথই নূরুল আমিন
আজকে কিন্তু বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বলা চলে। আজকে দেশের সরকার দারুন সমৃদ্ধির মাঝে আছে। আজকে বাংলাদেশ সরকারের সকল সেক্টরে জনবল নিয়োগ আছে। একজন প্রধানমন্ত্রীর তালিকাভুক্ত ছয় জন উপদেষ্টাসহ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটি উপকমিটি ইত্যাদি ইত্যাদি। এছাড়া বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশ চলছে মহাসমারোহে ভরপুর। তারপরেও মনের মাঝে কেমন কেমন লাগে। মনটা যেন বারবার প্রশ্ন করে। তারা কি সঠিক পথেই দেশ চালাচ্ছে নাকি কোনো সমস্যা আছে? আজকে দির্ঘদিন ধরেই মনের গহীনে প্রশ্ন। বাংলাদেশ নামক এই স্বাধীন দেশটা কে চালাচ্ছে? কারা চালাচ্ছে? দেশের জনগণ কি চাচ্ছে। আর সরকার প্রধানগণ কি বলছে। কি করছে। এরকম নানারকম প্রশ্ন এসে সবসময় পাশে দাড়িয়ে থাকে। আমার কাছে মনে হয় সরকার তার নিজ খেয়ালে দেশ চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে জনগণের ইচ্ছে আকুতি দাবীগুলোর কোনো প্রতিফলন নেই। সমগ্র দেশের মানুষেরা যেমন রয়েছে নিরাপত্তাহীন। তেমনি রয়েছে সমগ্র দেশজুড়ে ভেজাল খাবার। রয়েছে ভেজাল ঔষধ। সারাদেশের প্রায় সকল সরকারি আমলা কর্মচারীরা মিলে ঘুষনীতি চালু করে বসে আছে বাহাদুরের মতো। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে নাজেহাল করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুষ্ট লোকেরা। এযেন জাতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেবার কঠিন ফন্দি। আজকে সমাজ ব্যবস্থা ও ভেঙ্গে পড়েছে চরম ভাবে। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এখানে আজকে দুর্বল লোকেরা কোথাও তাদের সঠিক বিচার পাচ্ছে না। অন্যদিকে অগোছালো হয়ে পড়েছে সারাদেশের সাধারণ জনগণের জীবন জীবিকা। মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি। তাই দেশে চলছে নীরব হাহাকার। রাষ্ট্র চালকদের প্রতি দেশের জনগণ ভিতরে ভিতরে এতটাই ক্ষিপ্ত যে। প্রধানমন্ত্রীর ছবিটা ফেসবুকে পোষ্ট দিলে চারদিনেও তিনটি লাইক হয়না। দেশের সামান্য কিছু লোক দিব্বি তারা কোটি কোটি টাকার মালিক। তারা আসলে দেশপ্রেমিক না দেশদ্রোহী তা কিন্তু বুঝা মুশকিল। এভাবে এতো বৈষম্য নিয়ে দেশ চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আরো মন্দা ভাব দেখা দিবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। অথই নূরুল আমিন কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ। ঢাকা 13/02/2024