মেহেরপুরের গাংনীতে ক্ষেতে কলমি শাকের বীজ মাড়াইয়ের মজুরি নিয়ে জমির মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ দু'পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, মালিক পক্ষের জেলেহার মণ্ডলের ছেলে মজিবর (৫০), দেলোয়ার মণ্ডলের ছেলে জিবার মন্ডল (৫৫), নূর ইসলামের ছেলে আশাদুল (৪৮), আশাদুলের ছেলে নয়ন (২০), জেলেহার মণ্ডলের ছেলে নূর ইসলাম (৬৪), মজিবরের ছেলে আল আমিন (২৬) ও বায়জিদ আলীর ছেলে ফরজ আলী (৩৫)।
শ্রমিক পক্ষের আহতরা হলেন, রেজাউল ইসলামের ছেলে হযরত আলী (৬০), উসমানের ছেলে স্বপন (২৫), রেজাউলের ছেলে উসমান (৫০) ও হুমায়ুন (৪০), মৃত খোকা শেখের ছেলে রেজাউল (৮০), রেজাউল হকের স্ত্রী হালিমা খাতুন (৭৫)।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি), সকাল ৮ টার দিকে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের ঢেপা-পাঙ্গাশী গ্রামের একটি চায়ের দোকানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার মজিবরের ১৩ কাঠা জমির কলমি শাকের বীজ মাড়ানোর জন্য চুক্তি নেয় রেজাউল হকরা। বিঘা প্রতি জমির বীজ আড়াই হাজার টাকার চুক্তি হয়।
শ্রমিকের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে মজিবর অভিযোগ করেন, মাড়াই খরচ বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বুধবার সকালে ঢেপা-পাঙ্গাশী গ্রামের একটি চায়ের দোকানে উভয়পক্ষের লোকজন চা পানরত অবস্থায় আবারও উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দু'পক্ষের লোকজন। এতে দু'পক্ষের নারীসহ ১৩ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করেন।
এর মধ্যে নূর ইসলামের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তিনাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত