র্যাবের অভিযানে বিস্ফোরণ ও নাশকতা মামলার আসামি গ্রেফতার
চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার ককটেল বিস্ফোরণ এবং নাশকতা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি আবু মুছা মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
র্যাব জানায়, বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ০২ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা অবরোধ চলাকালে দুপুর আনুমানিক ১৪৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন সোনারটিলা এলাকায় রাস্তার উপর অবরোধ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে কতিপয় দুস্কৃতিকারীরা সরকার বিরোধী বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিয়ে লাঠি-সোঠা, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, সাধারণ জনগণের মাঝে ভয়-ভীতির উদ্দেশ্যে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতামূলক কর্মকান্ড সৃষ্টি করে। এসময় ভিকটিম মোঃ করিম (২৬) সহ ৭/৮ জন নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে গুরুতর জখম করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। খবর পেয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নাশকতাকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম মোঃ করিম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় ৩২ জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১৫৫/২১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-০২ তারিখ-০৩ নভেম্বর ২০২৩ ইং, ধারা-১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০ তৎসহ ১৯০৮ সনের The Explosive Substances Act-৩/৪/৬।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, সূত্রে বর্ণিত মামলার অন্যতম প্রধান পলাতক আসামি আবু মুছা মুছা মেম্বার চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানাধীন পুকুরিয়া চৌমুহনী বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ২১১৫ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুছা মুছা মেম্বার (৪৫), পিতা- মৃত রফিকুল ইসলাম, সাং- পুকুরিয়া, থানা- বাঁশখালী, জেলা- চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, অবরোধ কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, ভাংচুর, ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা সৃষ্টি এবং বাদী ভিকটিমকে মারধর করে।
উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনায় গ্রেফতারকৃত আসামি আবু মুছা @ মুছা মেম্বার এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় সরকারী সম্পত্তির ক্ষতিসাধন, বেআইনি সমাবেশ, নাশকতা, হত্যাচেষ্টা আইনে ০৮টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে