জয়পুরহাটে র্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ ০২ মাদক কারবারী আটক
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি এলাকা থেকে দুই মাদক কারবারীকে ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫, সিপিসি-৩। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) পাঁচবিবি থানাধীন উত্তর গোপালপুর এলাকা হতে ২৪ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক বিক্রয়ের নগদ অর্থ-১,৫২,১৪৫/- টাকাসহ ওই মাদক কারবারীদের আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট এর চৌকস অপারেশনাল দল ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ ০১০০ ঘটিকায় জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানাধীন উত্তর গোপালপুর এলাকা হতে ২৪ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক বিক্রয়ের নগদ অর্থ-১,৫২,১৪৫/- টাকাসহ ধৃত মাদক কারবারী ১। মোছাঃ জাহানারা বেগম, স্বামী-মোঃ এনামুল হক (৪১), ২। মোঃ রুবেল সরদার (৩৪), পিতা-মৃত সোলায়মান সরদার, উভয়ের সাং-উত্তর গোপালপুর, থানা-পাঁচবিবি, জেলা-জয়পুরহাট কে গ্রেফতার এবং পলাতক ৩। মোঃ এনামুল হক (৪১), পিতা-মোঃ আব্দুল আজিজ মন্ডল, সাং-উত্তর গোপালপুর, থানা-পাঁচবিবি, জেলা-জয়পুরহাট।
পলাতক আসামী এনামুল ও গ্রেফতারকৃত আসামী জাহানারা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এনামুল সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেল এনামুল ও জাহানারা‘র সহযোগী হিসেবে কাজ করত বলে জানা যায়।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে, গত কয়েকদিন ধরে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল পলাতক আসামী এনামুল এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৭-১-২০২৪ ইং তারিখে ০১০০ ঘটিকায় জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানাধীন উত্তর গোপালপুর নামক এলাকায় এনামুল তার নিজ বাড়িতে ফেন্সিডিল বিক্রয়ের সময় র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনাকালে কৌশলে এনামুল পালিয়ে যায় এবং জাহানারা ও রুবেল কে আটক করা হয়। পরবর্তীতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জাহানারা ও রুবেল এর নিকট রক্ষিত অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ২৪ বোতল এবং মাদক বিক্রয়ের নগদ-১,৫২,১৪৫/- টাকা উদ্ধার করা হয়। মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: র্যাব প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, প্রতারক, হত্যা এবং ধর্ষণ মামলার আসামিসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।