র্যাব-১৫ দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বাধীন এলাকায় বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে সার্বক্ষনিকভাবে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী রেখে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার জেলার সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে কতিপয় চোরাকারবারী জ্বালানী তৈল অকটেনসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অবৈধভাবে চোরাচাইপথে পাশ্ববর্তী দেশে পাচার করছে মর্মে তথ্য পায় র্যাব-১৫। এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার উক্ত চোরাকারবারী ও পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার এবং পাচার রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল জানতে পারে যে, অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করার উদ্দেশ্যে কতিপয় পাচারকারী জ্বালানী তৈল অকটেনসহ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন পৌরসভা এলাকায় অবস্থান করছে। বর্ণিত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২২ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ অনুমান ১২.১৫ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের চৌকস আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় র্যাবের আভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তিনজন ব্যক্তি তাদের হেফাজতে থাকা অকটেন ভর্তি প্লাস্টিকের ড্রাম রেখে পালানোর চেষ্টাকালে পলায়নপর তিনজনকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ইউএনও, টেকনাফের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আটককৃত তিন ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত চোরাকারবারীরা তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে ১১টি ড্রামে সর্বমোট ৬৩৮ (ছয়শত আটত্রিশ) লিটার অকটেন (যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৮৪,০০০/- টাকা) জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারীদ্বয়ের বিস্তারিত পরিচয়ঃ
১) হাবিবুর রহমান (২২), পিতা-মৌলভী আব্দুর রহমান, সাং-হাবিরছিড়া, টেকনাফ সদর, কক্সবাজার।
২) জাফর আলম (২২), পিতা-মৃত মীর মোহাম্মদ, সাং-নাইট্যংপাড়া, টেকনাফ পৌরসভা, কক্সবাজার।
৩) নুর হোসেন (৪০), পিতা-মৃত আবুল কালাম, সাং-দক্ষিণ লেংগুরবিল, টেকনাফ সদর, কক্সবাজার।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই চোরাকারবারীর সাথে জড়িত। তারা পরস্পর-পরস্পরের সহযোগীতায় দেশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে পাইকারি দামে জ্বালানী তৈল অকটেনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করতো। পরবর্তীতে আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে অবৈধভাবে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারে জ্বালানী তৈল পাচার করে থাকে। অদ্য অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের লক্ষ্যে জ্বালানী তৈল অকটেন উক্ত স্থানে মজুদ করেছিল এবং একপর্যায়ে উপরোল্লিখিত আলামতসহ র্যাবের আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরকে পেট্রোলিয়াম আইন, ২০১৮ এর ২০ ধারায় দন্ড প্রদান করা হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত