কক্সবাজারের সদর থানাধীন নাজিরারটেক এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ০৭ ডাকাত র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার:
ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার
১। র্যাব-১৫ দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বাধীন কক্সবাজার জেলায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই এর সাথে জড়িত চক্রগুলোকে আইনের আওতায় নিয়ে আসাসহ পর্যটন নগরীতে আগত দেশী-বিদেশী পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে সার্বক্ষনিকভাবে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী রেখে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানাধীন পৌরসভার ০১নং ওয়ার্ডের নাজিরারটেক চরপাড়া এলাকায় বালুরচরের মধ্যে একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ সমবেত হয়ে ডাকাতি সংঘটনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ অনুমান ০০.৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ডাকাত চক্রটি র্যাবের অভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ চারিদিকে দৌড়ে পলায়নের চেষ্টাকালে চক্রের ০৭ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং চক্রের ০২ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত ডাকাত চক্রের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সর্বমোট ০১টি একনালা বন্দুক, ০২টি এলজি, ০৯টি তাজা কার্তুজ, ০২টি দামা, ০১টি রাম দা, ০৪টি বাটন ও ০১টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত ডাকাত চক্রটির বিস্তারিত পরিচয় :
১) সৈয়দুল করিম (৩০), পিতা-নুরু মিয়া, সাং-সোনা দিয়া, কুতুবজোম ইউনিয়ন, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার।
২) দেলোয়ার (২২), পিতা-আলম, সাং-বড় গোপ, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সবাজার।
৩) পারভেজ আলম (২৪), পিতা-মৃত ইউসুফ আলী, সাং-মাদবর পাড়া, বড় খোপ ইউনিয়ন, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সবাজার।
৪) রুহুল কাদের (২২), পিতা-আক্তার হোসাইন, সাং-বেগুন বুনিয়া, ধলকাটা ইউনিয়ন, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার।
৫) মোঃ আবদুল মাবুদ (২৭), পিতা-মৃত নুরুল হক, সাং-দক্ষিণ পাড়া, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা-সদর, জেলা-কক্সবাজার, এ/পি- সাং-ঘোনার পাড়া, চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন, থানা-সদর, জেলা-কক্সবাজার।
৬) মোঃ সাগর (২২), পিতা-নবীর হোসেন, সাং-সোনা দিয়া, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার, এ/পি-সাং-সমিতি পাড়া (নবী হোসেনের বাড়ী), কক্সবাজার পৌরসভা, থানা-সদর, জেলা-কক্সবাজার।
৭) হাফেজ এছাম উদ্দিন @ হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৯), পিতা-মৃত হাজী আবু তাহের, সাং-বেগুন বুনিয়া, ধলকাটা ইউনিয়ন, থানা- মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার।
৪। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটি কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে কক্সবাজার পৌরসভার নাজিরারটেকের বালুর চরে একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাগরের মাছ ধরা ট্রলারের মাছ এবং জাল ডাকাতি করে থাকে বলে স্বীকার করে।
এছাড়াও তারা কক্সবাজারে আসা দেশী-বিদেশী পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণকে অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তাদের থেকে টাকা পয়সা এবং মূল্যবান সামগ্রী ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকে। নানাবিধ অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, হত্যা এবং অস্ত্রের একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা একাধিকবার করে গ্রেফতারও হয়েছিল।
৫। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত ডাকাত চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে ।
----ধন্যবাদ-----
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত