কক্সবাজারে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারকারী চক্রের ০২ জন চোরাকারবারী গ্রেফতার
কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৫টি ড্রামে মোট ১৪১৫ লিটার অকটেন, ৪০ কেজি পেঁয়াজ, ৩১ কেজি রসুন, ৩৬ কেজি আদা উদ্ধার এবং সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে অবৈধভাবে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারকারী চক্রের ০২ জন চোরাকারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
র্যাব-১৫ দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দায়িত্বাধীন এলাকায় বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে সার্বক্ষনিকভাবে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী রেখে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার জেলার সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে কতিপয় চোরাকারবারী জ্বালানী তৈল অকটেনসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অবৈধভাবে চোরাচাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করছে মর্মে তথ্য পায় র্যাব-৫। এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার উক্ত চোরাকারবারী ও পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার এবং পাচার রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল জানতে পারে যে, অবৈধভাবে পাচার করার উদ্দেশ্যে কতিপয় পাচারকারী জ্বালানী তৈল অকটেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়া এলাকার ডাঙ্গরপাড়া-মাঝেরপাড়া রোডের পশ্চিম পাশে একটি দোকানের সামনে রাস্তার উপর অবস্থান করছে। বর্ণিত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৬.০০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের চৌকস আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাবের আভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তিনজন ব্যক্তি তাদের হেফাজতে থাকা অকটেন ভর্তি প্লাস্টিকের ড্রামসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রেখে পালানোর চেষ্টাকালে দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং অপর একজন চোরাকারবারী দ্রুত কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত চোরাকারবারীদ্বয় তাদের নাম-ঠকানা প্রকাশ করে। এছাড়াও তারা জ্বালানী তৈল অকটেনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী; পেঁয়াজ, রসুন ও আদা পাচারের উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে মজুদ করেছে বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে ২৫টি ড্রামে সর্বমোট ১৪১৫ (এক হাজার চারশত পনের) লিটার অকটেন (যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১,৮৩,৯৫০/- টাকা), ৪০ কেজি পেঁয়াজ, ৩১ কেজি রসুন, ৩৬ কেজি আদা উদ্ধার এবং ০৩টি সীমসহ ০১টি বাটন ও ০১টি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারীদ্বয়ের বিস্তারিত পরিচয়ঃ
১) ফয়েজ উল্লাহ (২২), পিতা-আমান উল্লাহ, সাং-মাঝেরপাড়া, ৭নং ওয়ার্ড, সাবরাং ইউনিয়ন, টেকনাফ, কক্সবাজার।
২) আব্দুল্লাহ (২০), পিতা-আব্দুল গফুর, সাং-মাঝেরপাড়া, ৭নং ওয়ার্ড, সাবরাং ইউনিয়ন, টেকনাফ, কক্সবাজার।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই চোরাকারবারী এবং পাচারের সাথে জড়িত। তারা পরস্পর-পরস্পরের সহযোগীতায় দেশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে পাইকারি দামে জ্বালানী তৈল অকটেনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করতো। পরবর্তীতে আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে অবৈধভাবে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশে এ সকল জ্বালানী ও পণ্য পাচার করে থাকে। অদ্য অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের লক্ষ্যে জ্বালানী তৈল অকটেন, পেঁয়াজ, রসুন ও আদা উক্ত স্থানে মজুদ করেছিল এবং একপর্যায়ে উপরোল্লিখিত আলামতসহ র্যাবের আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত ও পলাতক চোরকারবারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।