সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার জেলার সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে একটি চোরাকারবারী চক্র জ্বালানী অকটেন পাশ্ববর্তী দেশে পাচার করা হচ্ছে মর্মে তথ্য পায় র্যাব-১৫। এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত চোরাকারবারি ও পাচারকারী চক্রের সদস্য ও পাচার রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১২ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজার সদর থানাধীন কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের ঝিলংজা ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ডস্থ দরিয়া নগর ব্রীজের উপর অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কক্সবাজার শহর হতে টেকনাফ অভিমুখী দুইটি নীল রংয়ের পিকআপ এ থাকা কতিপয় ব্যক্তি র্যাবের আভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে গাড়ী থেকে নেমে তড়িৎ গতিতে পলায়নের চেষ্টাকালে ০৬ জনকে আটক করা হয় এবং পিছনে থাকা পিকআপ এর চালকসহ ০২ জন দ্রুত পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করে যে, বর্ণিত পিকআপে ড্রাম ভর্তি অকটেন রয়েছে, যা উখিয়া থানাধীন একটি পেট্রোল পাম্প থেকে সংগ্রহ করে অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে চোরাইপথে বেশী দামে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ০২টি পিকআপ (রেজিঃ নং-চট্ট-মেট্রো-ন-১১-৮২৬৭ এবং অপরটি রেজিস্টেশন বিহীন পিকআপ) জব্দ করতঃ ৬৯টি ড্রামে সর্বমোট ২৯০০ লিটার অকটেন উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও জব্দ করা হয় নগদ ১৮,১০০ (আঠার হাজার একশত টাকা) এবং ০৩টি স্মার্ট ও ০২টি বাটন মোবাইল ফোন।
১) মোঃ আয়াছ @ রিয়াজ (২২), পিতা-মৃত আব্দুস ছালাম, সাং-সোনার পাড়া, জালিয়াপালং ইউনিয়ন, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার।
২) মোঃ জসিম উদ্দিন (২০), পিতা-আব্দুল্লাহ, সাং-উত্তর সোনারপাড়া, জালিয়াপালং ইউনিয়ন, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার।
৩) মোঃ আলী আকবর (৩৮), পিতা-মৃত হাজী আব্দুল মোতালেব, সাং-সোনার পাড়া, জালিয়াপালং ইউনিয়ন, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার।
৪) মোঃ সোহেল (১৯), পিতা-আহম্মদ কবির, সাং-পশ্চিম সোনারপাড়া, জালিয়াপালং ইউনিয়ন, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার।
৫) মোঃ এহাছান উল্লাহ @ রহমত উল্লাহ (২৩), পিতা-মোঃ হাসেম, সাং-সোনার পাড়া, জালিয়াপালং ইউনিয়ন, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার।
৬) মোঃ দেলোয়ার (২৪), পিতা-মোঃ করিম, সাং-হিমছড়ি, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার।
৪। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, আটককৃতরা পরস্পর-পরস্পরের সহযোগীতায় দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে পাইকারি দামে জ্বালানী অকটেন ক্রয় করে অধিক মূল্যে অবৈধভাবে সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী দেশে চোরাইপথে বেশী দামে পাচার করে আসছিল। অদ্য উপরোল্লিখিত জ্বালানী অকটেনসহ র্যাবের আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।