পুলিশ সুপারের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় আরবিয়া খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার ও শিশু জীবন ও জিম ফিরে পেল পিতৃস্নেহ
চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা থানাধীন বকশীপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম এর কন্যা মোছাঃ আরবিয়া খাতুন এর সাথে একই থানাধীন বেগেরখালী গ্রামের দুলালের ছেলে মোঃ শিপন এর ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়।
সংসার জীবনে মেয়ে জীম ও ছেলে জীবন(৬) নামে দুইটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আরবিয়া খাতুন ও স্বামী শিপনের মধ্যে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ হয়।
এক পর্যায়ে আরবিয়াকে তার স্বামী শিপনসহ বাড়ির লোকজন মারপিট করে সন্তানসহ তার পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এমতাবস্থায় মোছাঃ আরবিয়া খাতুন তার স্বামী-সংসার ফিরে পাওয়ার জন্য পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক জনাব আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা, পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা উক্ত অভিযোগটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থিত ‘উইমেন সাপোর্ট সেন্টার’ এর মাধ্যমে অদ্য ৩১.১২.২০২৩ খ্রিঃ উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন।
উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা তাদের উভয়কে বোঝানোর চেস্টা করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের সহায়তায় মোছাঃ আরবিয়া খাতুন ও শিপন সব বিবাদ ভুলে সুখে-শান্তিতে সংসার করতে সম্মত হয়। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে মোছাঃ আরবিয়া খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার ও শিশু সন্তানরা ফিরে পেল পিতৃস্নেহ।