র্যাবের পৃথক পৃথক অভিযানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ থানা এলাকা হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ জন ডাকাত এবং ছিনতাই এর প্রস্তুতিকালে ০৯ জন ছিনতাইকারী’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২
গতকাল ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখ রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর রায়ের বাজার এলাকা হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আসামি ১) মোঃ রিফাত(২০), পিতা- মোঃ রিপন, থানা- বোরহানউদ্দিন, জেলা- ভোলা, ২) শাকিল(২০), পিতা- ইদ্রিস আলী মুন্সী, থানা- পালং মডেল, জেলা- শরীয়তপুর, ৩) তারেক(২৬), পিতা- মৃত আনোয়ার হোসেন, থানা- জগন্নাথপুর, জেলা- সুনামগঞ্জ, ৪) লিখন(৩৮), পিতা- মোঃ লিয়াকত আলী, থানা- শ্রীবন্ধি, জেলা- শেরপুর ও ৫) দুর্যয়(১৯), পিতা- জীবন, থানা- কেরানীগঞ্জ, জেলা- ঢাকাদের’কে দেশীয় অস্ত্র (একটি বড় ছুরি, একটি চাপাতি, দুইটি ছোট ছুরি ও তিনটি মোবাইল)সহ গ্রেফতার করে। এছাড়াও পৃথক পৃথক অভিযানে রাজধানীর ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ এলাকা হতে ছিনতাই এর প্রস্তুতিকালে আসামি ১) মোঃ আকাশ(২০), মৃত আব্দুস সালাম, থানা- নান্দাইল মডেল, জেলা- ময়মনসিংহ, ২) মোঃ রুবেল হাওলাদার(২০), পিতা- নাছির উদ্দিন হাওলাদার, থানা- আগৈলঝরা, জেলা- বরিশাল, ৩) মোঃ বাবুল(৪৫), পিতা- মৃত মফিজ, থানা- লক্ষীপুর, জেলা- লক্ষীপুর, ৪) মোঃ রেজোয়ান, পিতা- বকুল মিয়া, থানা- ইটনা, জেলা- কিশোরগঞ্জ, ৫) আলী আহম্মেদ(৩৫), পিতা- মৃত সোবহান, থানা- বন্দর, জেলা- নারায়নগঞ্জ, ৬) শাহ-জালাল, পিতা- মৃত বারেক, থানা- দারুসসালাম, জেলা- ঢাকা, ৭) আরিফ সিকদার(২৫), পিতা- অলিল সিকদার, থানা- গলাচিপা, জেলা- পটুয়াখালী, ৮) মোঃ রাসেল সর্দার(২২), পিতা- মোঃ ছিদ্দিক সরদার, থানা- মাদারীপুর সদর, জলো- মাদারীপুর ও ৯) মোঃ হৃদয়(২২), পিতা- মোঃ রফিকুল ইসলাম, থানা-বাউফল, জেলা- পটুয়াখালীদের’কে দেশীয় অস্ত্র (একটি সামুরা, চারটি চাকু, দুইটি ফোল্ডিং চাকু ও একটি মোবাইল)সহ গ্রেফতার করে র্যাব-২।
সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা বিভিন্ন অপরাধে মারাত্মকভাবে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা মাদকাসক্ত হওয়ায় মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির মত ঘটনা ঘটায়। সাম্প্রতিককালে মোহাম্মদপুর ও হাজারীবাগ এর আশপাশ এলাকায় কিশোর গ্যাং এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করে ছিনতাই ও পথচারীদের নিকট হতে মোবাইল ছিনতাইসহ শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যক্রম ঘটায়। এছাড়াও প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংক্রান্তে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা রুজু হয়। সাধারণ মানুষ কিশোর গ্যাংয়ের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। এতে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই পেক্ষিতে র্যাব-২ এই চক্রের উপর গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে র্যাব-২ উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ ও ধানমন্ডি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৫ জন ডাকাত ও ৯ জন ছিনতাইকারীসহ সর্বোমোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পরবর্তীতে র্যাব-২ এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।