ভোলার চরফ্যাশনে “নৃশংসভাবে গলা কেটে ইজিবাইক চালক হারুন হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস মামলায় সরাসরি জড়িত পলাতক আসামী মিজানুর’কে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০
ভোলা জেলার শশীভূষণ থানাধীন পালোয়ান বাড়ী এলাকায় বসবাসকারী মোঃ আব্দুল মুনাপ পালোয়ান (৫২) এর ছেলে মোঃ হারুন (১৭) পেশায় ইজিবাইক চালক। সে ইজিবাইক চালিয়ে অর্থ উপার্জন করে জিবিকা নির্বাহ ও তার পরিবার পরিচালনা করে আসছিল।
গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক বিকাল ০৩:৩০ ঘটিকায় ইজিবাইক চালক হারুন প্রতিদিনের ন্যায় সে ইজিবাইক নিয়ে যাত্রী পরিবহন করার জন্য বাসা থেকে বের হয়। ঐদিন আনুমানিক রাত ২০:০০ ঘটিকায় মুনাপ তার ছেলে হারুনকে ফোন করে বলে বাড়ী ফেরার সময় তার জন্য পান নিয়ে আসার জন্য। জবাবে হারুন তার বাবাকে জানায় যে, সে যাত্রী পরিবহন করছে যাত্রী পরিবহন শেষে বাড়ী ফেরার সময় পান নিয়ে আসবে। অতঃপর প্রতিদিনের ন্যায় হারুন আনুমানিক রাত ১০:০০ ঘটিকা হতে ১১:০০ ঘটিকার মধ্যে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও ঐদিন রাতে সে বাসায় না ফিরলে তার পরিবারের লোকজন তাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে কোন সাড়া না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায় পরদিন ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সকাল আনুমানিক ০৬:৩০ ঘটিকায় স্থানীয় লোকজন কর্তৃক জানতে পারে যে, ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানাধীন মেঘনা নদী সংলগ্ন ফাঁকা মাঠে তার ছেলে ভিকটিম হারুনের গলা কাটা লাশ পড়ে আছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে ভিকটিম হারুনের পিতা ও তার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে হারুনের লাশ শনাক্ত করে। পরবর্তীতে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘনটাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতঃ লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
উক্ত ঘটনার পর মৃতের পিতা মোঃ আব্দুল মুনাপ পালোয়ান (৫২) তার পরিবারের সাথে পরামর্শ করতঃ ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-০৬, তারিখ-২০/১২/২০২৩খ্রিঃ; ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। ইতোমধ্যে হত্যাকাÐটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারের কারণে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
র্যাব ফোর্সেস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, গণ-মানুষের নিরাপত্তা বিধান ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে এ বাহিনী মাদক, অস্ত্র, জঙ্গিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে ইতোমধ্যে জনমনে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। অপরাধ দমনে র্যাব শুধু আভিযানিক প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। ইতোপূর্বে যে সকল জঙ্গি ও জলদস্যুরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অন্ধকার জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চেয়েছে তাদের আত্মসমর্পণ, পুনর্বাসন ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে র্যাব।
পাশাপাশি আগামী ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা রোধে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে র্যাব-ব্যাটেলিয়ন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।