র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, বান্দরবান জেলার আলীকদম থানাধীন আলীকদম সদর ইউনিয়নের খুইল্ল্যা মিয়া পাড়া এলাকার রুমা আক্তার এর বসত ঘরের ভিতর কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা টেবলেট ক্রয়-বিক্রয় কিংবা অন্যত্র চালানের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান ১৪.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিএসসি এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পলায়নের চেষ্টাকালে রুমা আক্তার নামে একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী তার সাথে থাকা অপর দুই সহযোগীর নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত মাদক কারবারীকে তল্লাশী করে তার হেফাজত হতে মোট ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে মর্মে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ২০.২৫ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ নূর মোহাম্মদ নামে এক রোহিঙ্গা মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য, র্যাব-১৫ এর পৃথক দু’টি অভিযানে সর্বমোট ৬০,০০০ (ষাট হাজার) পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ ০২ মাদক কারবারীকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদ্বয়ের বিস্তারিত পরিচয়:
(১) রুমা আক্তার (৩০), স্বামী- নুরুল ইসলাম, পিতা-ফরিদুল আলম, সাং-খুইল্ল্যা মিয়া পাড়া, ০২নং ওয়ার্ড, আলীকদম সদর ইউনিয়ন, থানা- আলিকদম, জেলা-বান্দরবান।
(২) নূর মোহাম্মদ (২৪) (রোহিঙ্গা), পিতা-মৃত জাফর আহাম্মদ, মাতা-তাহেরা বেগম, সাং-রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং-২৫ (আলীখালী), ব্লক-ডি/৬, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পাশ্ববর্তী সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করতো। পরবর্তীতে তা স্থানীয় এলাকা ও কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের নির্ধারিত এজেন্টদের মাধ্যমে বিক্রয় করে মাদক সেবনকারীদের নিকট পৌঁছে দিতো এবং মাদক পাচারে অবলম্বন করতো অভিনব পদ্ধতি।
এ সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত