ইদ্রিছ হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী গ্রেফতার
নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ইদ্রিছ আলী হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী কালাম’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জ*ঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘব*দ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
গতকাল ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক রাত ১১:৩০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানাধীন আলনগর খালপাড় চৌরাস্তা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার মামলা নং-৩৫, তারিখ-২৮/০৮/২০২৩ খ্রিঃ; ধারা-১৪৩/৩৪১/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০; চাঞ্চল্যকর মোঃ ইদ্রিছ আলী’কে (৫৪) নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত পলাতক আসামী মোঃ আবুল কালাম (৬০), পিতা-মৃত জালাল উদ্দিন, সাং-উত্তর কালডোয়ার, থানা-পূর্বধলা, জেলা-নেত্রকোনা‘কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম মৃত মোঃ ইদ্রিছ আলী (৫৪), পিতা-মৃত জালাল উদ্দিন, সাং- উত্তর কালডোয়ার, থানা-পূর্বধলা, জেলা-নেত্রকোনা এর সাথে আসামী মোঃ আবুল কালামসহ এজাহার নামীয় অপরাপর আসামীদের সাথে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ ও মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে ঘটনার দিন তারিখ-২৭/০৮/২৩ খ্রিঃ আনুমানকি সন্ধ্যা ০৭:০০ ঘটিকায় ভিকটিম ইদ্রিছ আলী তার বাড়ির পাশের মসজিদ হতে মাগরিবের নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথে আসামী কালামসহ অপরাপর আসামীরা ভিকটিমের পথ রোধ করে এবং রাম দা, চাপাতি ও ধারালো লম্বা ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে উপর্যুপরি এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
অতঃপর আহত ভিকটিমের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ভিকটিম মোঃ ইদ্রিছ আলী’কে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
উক্ত ঘটনার পর মৃত মোঃ ইদ্রিছ আলীর স্ত্রী মোসা: ফরিদা আক্তার বাদি হয়ে নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানায় আসামী মোঃ আবুল কালামসহ (৬০) আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত হত্যার মূল আসামী আবুল কালাম অজ্ঞাত স্থানে পলায়ন করে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। সর্বশেষ রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন অবস্থায় আসামী কালাম র্যাব কর্তৃক গ্রেফতার হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।