গাজীপুরে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আঞ্জুয়ারা খাতুন নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ১০ শ্রমিক।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বামী জামাল হোসেন ও ভাই মোস্তফা। তবে পুলিশ তার মারা যাওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি।
আঞ্জুয়ারা কোনাবাড়ী জরুন এলাকার ইসলাম গার্মেন্টস-২ এর সেলাই মেশিন অপারেটর পদে চাকরি করতেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার চরগিরিশ এলাকায়।
কোনাবাড়ি থানার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খায়রুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, নারী শ্রমিক নিহতের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নই। তবে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি পদদলিত হয়ে নাকি অন্য কোনোভাবে আহত হয়েছেন তা জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে আসছিল। এরপর ৭ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট না শ্রমিকরা।
তাই গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের একাংশের বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। সকালে মহানগরীর কোনাবাড়ী ও জরুনসহ বিভিন্ন এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এ সময় পুলিশ বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মহাসড়কে উঠতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ কর থাকে। পুলিশও রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে নারীসহ অন্তত ১১ শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আঞ্জুয়ারাসহ দুই শ্রমিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আশরাফ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, শ্রমিকরা আঞ্চলিক সড়কগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এছাড়া ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। শ্রমিকদের মহাসড়কে নামতে দেওয়া হয়নি। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত