রাজধানীতে বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময় জনতার ধাওয়ায় একজনের মৃত্যু
বিএনপি-জামায়াতের সমমনা দলের ডাকা হরতালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদ এভিনিউ এলাকায় ‘বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময়’ একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২৯ অক্টোবর রবিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি বর্তমান আদাবর থানাধীন ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুর রশিদ। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি, দলের ঝটিকা মিছিল শেষে ফেরার পথে তুলে নিয়ে পিটিয়ে তাকে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আজিজুল হক স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, রবিবার সকাল ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার টাউন হল শহীদ পার্ক জামে মসজিদের সামনে পরিস্থান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৩২৯) আগুন দেয় হরতাল সমর্থনকারী। এতে বাসের সবগুলো সিট পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, ‘যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে আসাদ এভিনিউ সড়কের পাশের নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে উঠে যান ওই ব্যক্তি। পরে ভবন থেকে নিচে পড়ে মারা যান তিনি। তার কাছে একটি আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। সেখানে তার নাম লেখা আব্দুল রশিদ। বয়স আনুমানিক ৩৬ বছর।’
প্রত্যক্ষদর্শী এক রিকশাচালক বলেন, ‘সাত থেকে আট জন লোক চলন্ত বাসটিকে থামিয়ে যাত্রীদের নেমে যেতে বলে। পরে তারা বাসটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সলিমুল্লাহ রোডের দক্ষিণ মাথার উল্টাপাশে মোহাম্মদপুর ক্লাবের মাঠ দিয়ে পালিয়ে যায়।’
লাশ উদ্ধারের সময় স্থানীয় লোকজন জানান, ৭ তলা ওই ভবন থেকে পাশের তিন তলা একটি ভবনের ছাদে লাফ দেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তিনি দুই ভবনের মধ্যখানে পড়ে যান, এতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মো. আবদুর রশিদের পরিচয় নিশ্চিত করে ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, হরতালের সমর্থনে মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় ঝটিকা মিছিল শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনে থেকেই আবদুর রশিদকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে ফেলে নির্মমভাবে
হত্যা করে।