প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ১:৫৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৬, ২০২৩, ৩:০৯ অপরাহ্ণ
রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন নিয়ে যাচ্ছে বালু ও পাথর
রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন নিয়ে যাচ্ছে বালু ও পাথর
সুনামগঞ্জের ধোপাজান চলতি নদীতে প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়ে দিনে রাতে চলছে প্রভাবশালী চক্রের দ্বারা বালু ও পাথর উত্তোলনের মহোৎসব। সীমান্তবর্তী ডলুরাসহ কাইয়েরগাও এলাকায় প্রভাবশালী একটি চক্র প্রতিদিন সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে (ধামাইল) চলতি নদীসহ কয়েকটি স্পট থেকে প্রকাশ্যে ও রাতের আধারে পাড়কেটে উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু ও পাথর। ফলে নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে মসজিদ, কবরস্থান, রাস্তা ঘাট ও বসতবাড়ি। বালু ও পাথর উত্তোলণের ফলে ধোপাজান নদী এখন রহস্যময় সমুদ্র রুপে আকার ধারণ করছে। সরকার ও প্রশাসনের তরফ থেকে ধোপাজান(চলতি) নদীতে বালু ও পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও একটি প্রভাবশালী পাথর খেকো চক্র রয়েছে যারা প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রতি নিয়ত অবৈধ ভাবে পাড়কেটে নিয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু ও পাথর। সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ডলুরা শহীদের গণকবরের পাশে (ধোপাজান) চলতি নদীতে চলে দিনে রাতে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন। এই চলতি নদীকে ঘিরে ডলুরা ও নারায়নতলা দুটি বিজিবির ক্যাম্প ও রয়েছে। এই অবৈধ কর্মকান্ডগুলো চলে তাদের সামনে। যার ফলে নদীর পাড়ে থাকা মসজিদ, ফসলী জমি, অসহায় মানুষের চলাচলের রাস্তা ,বসতবাড়ি , কবরস্থানসহ নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হুমকির মুখে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম। একদিকে যেমন লাভবান হচ্ছে কিছু অসাধু কর্মকর্তা পাশাপাশি অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করে সরকারের রাজস্ব ফাকিঁ দিয়ে একটি প্রভাবশালী চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। যার কারনে সুন্দর্য হারাচ্ছে ধোপাজান নদীর ভারসাম্য ও পরিবেশ। ধোপাজান চলতি নদী এখন হয়ে উঠেছে রহস্যময় সমুদ্রের নীল নকশা। এছাড়াও বিশ্বম্ভরপুর এবং সুনামগঞ্জ সদর দুটি থানার মধ্যে অবস্থিত এই ধোপাজান নদী। নদী তীরবর্তী প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট চক্র প্রতিদিন প্রকাশ্যে দিবালোকে চলতি নদী হতে সরকারের রাজস্ব ফাকিঁ দিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী হতে রাতের আধারে স্টিলের নৌকা লোড করে বালু ও পাথর নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর দিনের বেলা শত শত কাঠের ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে লক্ষ লক্ষ বালি ও পাথর নিয়ে যাচ্ছে। ঐ সমস্ত অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে সঠিক কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বরং প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা এবং স্প্রিড বুটের ড্রাইভার ও একজন মোল্লা প্রত্যেক নৌকা থেকে ৫০০ টাকা করে নিয়ে থাকে বলে জানা যায় । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সীমান্তবর্তী ডলুরা থেকে শুরু করে আদাং, কাইয়েরগাওঁ,রামপুর, সৈয়দপুর, বালাকান্দা বাজারসহ আরও একটি সিন্ডিকেট চক্র প্রতিদিন ধুপাজান চলতি নদীসহ কয়েকটি স্পট থেকে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলণ করে শত শত পঙ্গপাল নামে নৌকা যুগে বড় বড় বলগেট/কার্গো জাহাজ/সুরমা নদীতে রেখে বুজাই দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের রমরমা ব্যবসা এবং গভীর রাতে বড় বড় বালু ভর্তি বলগেট নৌকা চলে ধোপাজান নদীতে।সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বে কিভাবে দুটি বিজিবি ক্যাম্প, দুটি থানা , ১টি নৌ-পুলিশ ফাড়িসহ ডিবি পুলিশ, নৌপুলিশ,বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ,সদর থানা পুলিশের নিয়মিত টহল থাকা অবস্থায় কিভাবে চলে বালুও পাথর উত্তোলন সেঠিই এখন রহস্যময় ভাবনার বিষয়? নদীর পাড়ে থাকা অসহায় মানুষের দাবী প্রশাসন লোকেরা সুযোগ না দিলে নদী ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে। উর্ধ্বতন র্কতৃপক্ষ ঐ সমস্ত অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলণ কারীদের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন করে ধোপাজান নদী ও পরিবেশ রক্ষা করবেন এমটি দাবী নদীর পাড়ে থাকা অসহায় মানুষের।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত